এশিয়া কাপের দলে ফিরতে পারেন সৌম্য, নাঈম, সাব্বির, সাইফুদ্দিনরা

যায় কিনা এই শঙ্কা করছে সবাই। ব্যাটিংয়ের হিসেব করলে প্রায় প্রতিটি পজিশনেই সমস্যা রয়েছে। ওপেনিং, মিডল অর্ডার এবং ফিনিশিং এই তিন জায়গাতেই ইম্প্যাক্টফুল ক্রিকেটারের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এই কঠিন সময়ে সৌম্য সাইফুদ্দিন, নাঈম এবং সাব্বির এই চার ক্রিকেটারের অভাব বেশ অনুভব করছে সবাই। নিঃসন্দেহে এই তিন ক্রিকেটার একসঙ্গে খেলতে পারলে দলের অবস্থা এতটা করুন হতো না। ব্যাটিংয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ওপেনিং সামলাতেন সৌম্য।
টি টোয়েন্টি থেকে তামিম ইকবালের সরে দাঁড়ানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত তার উত্তরসূরী খুঁজে বের করতে পারেননি নির্বাচকেরা। এনামুল হক বিজয় এবং মুনিম শাহরিয়ার এই দুজনের মধ্যে যেকোনো একজনকে তামিমের উত্তরসূরী মনে করা হচ্ছিল। তবে এবারের জিম্বাবুয়ে সফরে সে আশাও ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। দুজনের খারাপ ফর্ম বেশ ভুগিয়েছে টিম বাংলাদেশকে।
এক প্রকার বাধ্য হয়ে এখন সৌম্য সরকারের দিকে তাকাতে হবে ম্যানেজমেন্টকে। ২০২১ বিশ্বকাপে বাজে পারফরমেন্সের প্রেক্ষিতে সৌম্যকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে দলে প্রত্যাবর্তন করতে পারেননি এই ক্রিকেটার। বলা চলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে 'এ' দলের হয়ে ভালো পারফর্ম করলে অনায়াসেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঢুকে যেতে পারেন সৌম্যর সরকার। এ প্রত্যাশাতেই থাকবেন সমর্থকরা। বিশ্বকাপের মতো একটি আসরে নিশ্চয়ই বিকল্প ওপেনার ছাড়া যাবে না বাংলাদেশ।
সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে নাঈম শেখের দলে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। দলের বেশ কয়েকজন নিয়মিত সদস্য ইনজুরিতে রয়েছে। এমনকি এশিয়া কাপ থেকে চোটের কারণে ছিটকেও পড়তে পারেন লিটন কুমার দাস। ফলে এশিয়া কাপের দলে থাকার বেশ ভালো সম্ভাবনাই রয়েছে নাঈম শেখের।ওপেনিং এর পরই দলের অন্যতম দুর্বল জায়গা ফিনিশিং। আর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ফিনিশার সাব্বির রহমানের চেয়ে যোগ্য কে হবেন এই জায়গাটির জন্য।
বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার পর্যাপ্ত সুযোগ পেলেও, সাব্বির এই জায়গায় কিছুটা দুর্ভাগা। বিগত তিন বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন এই ক্রিকেটার। যদিও এই তিন বছরে বেশ কয়েকটি ভালো ইনিংস খেলেছেন সাব্বির। তবুও উপেক্ষিত হয়েছেন বারবার। অনেকদিন পর বিসিবির এত বড় একটি প্রোগ্রামে (বাংলাদেশ এ দল) সুযোগ পেয়েছেন সাব্বির।
এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে লিখতে পারবেন কি প্রত্যাবর্তনের গল্প। সৌম্য এবং সাব্বিরের মতো পারফরমেন্স নয়, ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছেন সাইফুদ্দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই প্রত্যাবর্তন করার কথা ছিল, তবে আবারো চোটে পরেন এই ক্রিকেটার। ফলে প্রায় নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে দলের বাইরে রয়েছেন সাইফুদ্দিন। তবে নির্বাচকদের এশিয়া কাপ পরিকল্পনায় বেশ ভালোভাবেই রয়েছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
বর্তমান যুগে পেস বোলিং অলরাউন্ডারদের কদর সবচেয়ে বেশি। নিঃসন্দেহে নিজের সেরাটা দিতে পারলে বাংলাদেশের জন্য কার্যকরী প্রমাণ হবেন সাইফুদ্দিন। সব হিসেব যদি মিলে যায় এবং এই চার ক্রিকেটারকে একসাথে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ দলে শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, তাহলে হয়তো টি-টোয়েন্টিতে ভঙ্গুর বাংলাদেশ দলটিকে নতুন এক চেহারায় দেখতে পারবেন সমর্থকরা।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বড় চমক, বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- মালয়েশিয়া প্রবাস: যেভাবে আবেদন করবেন সম্পূর্ণ বিনা খরচে
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল