লাভে শীর্ষে সিটি, লোকসানে পিএসজি

গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ফুটবল বেঞ্চমার্কের বার্ষিক প্রতিবেদনে মূলত ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ আটটি ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সর্বশেষ মৌসুমে (২০২১-২২) যে ৮টি লিগকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে, সেগুলো হলো ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগ, স্পেনের লা লিগা, জার্মানির বুন্দেসলিগা, ইতালির সিরি ‘আ’, ফ্রান্সের লিগ আঁ, পর্তুগালের প্রিমেরা লিগা, নেদারল্যান্ডসের এরডিভিসি ও তুরস্কের সুপার লিগ। বিশ্লেষণের জন্য ক্লাবগুলোর ২০২১-২২ মৌসুমের অর্থনৈতিক হিসাব বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে খেলোয়াড়দের বাজারদর হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, আট চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটির স্কোয়াডের মূল্য সবচেয়ে বেশি। সিটির স্কোয়াডের বর্তমান বাজারমূল্য ১২৬ কোটি ৭০ লাখ ইউরো। শুধু ইউরোপের এই আট লিগের চ্যাম্পিয়নদের মধ্যেই নয়, পুরো ফুটবল–বিশ্বেই সিটি সবচেয়ে দামি দল।
এরপর সবচেয়ে দামি পিএসজি, বাজারমূল্য ১০০ কোটি ৮০ লাখ ইউরো। তবে সব চ্যাম্পিয়ন দলই তাদের দেশের সবচেয়ে দামি দল নয়। রিয়াল মাদ্রিদ, পোর্তো ও ত্রাবজোনস্পোর যেমন ফুটবল বেঞ্চমার্কের হিসাবে তাদের নিজ নিজ দেশে দ্বিতীয় দামি দল।
প্রিমিয়ার লিগ–যুগে ম্যানচেস্টার সিটি প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায় ২০১১-১২ মৌসুমে। এক দশক পর সেই সিটির ট্রফি কেসেই ছয়টি প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা, যার চারটিই সর্বশেষ পাঁচ মৌসুমে। এর বড় কৃতিত্ব অবশ্যই পেপ গার্দিওলার। বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচের অধীনে এই সময়ে লিগ ছাড়াও এসেছে এফএ কাপ, লিগ কাপ ও কমিউনিটি শিল্ড মিলিয়ে আরও সাতটি শিরোপা। মাঝারি মানের ক্লাব থেকে সিটির উত্তরণ হয়েছে ইউরোপের অভিজাত ক্লাবের তালিকায়।
নাম-যশের পাশাপাশি আর্থিক অবস্থানেও এই সাফল্যের প্রভাব পড়েছে। ফুটবল অর্থনীতি নিয়ে গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফুটবল বেঞ্চমার্কের বার্ষিক প্রতিবেদনেও যা স্পষ্ট। নতুন বছরে প্রকাশিত প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ আটটি ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটির স্কোয়াডের বাজারমূল্যই সবচেয়ে বেশি। সর্বশেষ বছরে আয়ের হিসাবেও সিটিই সবচেয়ে এগিয়ে।
টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ক্লাবের পরিচালন আয়েও শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। এই শীর্ষ স্থান শুধু আটটি লিগের চ্যাম্পিয়নদের মধ্যেই নয়, সারা বিশ্বের ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে। দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। আটটি ক্লাবের মধ্যে শুধু পোর্তো ছাড়া বাকি সব ক্লাবেরই আগের বছরের তুলনায় পরিচালনাগত আয় বেড়েছে। তবে আয়কর ও অন্যান্য ব্যয়ের পর এই আট ক্লাবের মধ্যে মুনাফা করতে পেরেছে মাত্র চারটি ক্লাব। সেখানেও শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। গত মৌসুমে যারা লাভ করেছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ইউরো।
পিএসজির গত মৌসুমে পরিচালনাগত আয় ছিল ৬৭ কোটি ইউরো। কিন্তু আয়কর, খেলোয়াড়দের বেতন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাদের ব্যয় এত বেশি যে গত মৌসুমে পিএসজি লোকসান গুনেছে ৩৬ কোটি ৯০ লাখ ইউরো। খরচের একটা বড় অংশই গেছে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের বেতনের পেছনে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি