৮০মিটার লম্বা ছক্কা হাঁকালেন অক্ষর, অবিশ্বাস্য কান্ড করে বসলেন কোহলি

শীর্ষ ছয় ভারতীয় ব্যাটিং জুটি কমপক্ষে পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপ করেছে, যা বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির সিরিজ নির্ধারক ম্যাচের শেষ দিনেও বুঝিয়ে দিয়েছে, আমদাবাদে পুরোটাই ব্যাটিং পিচ। রবীন্দ্র জাদেজা এবং কেএস ভরতের সঙ্গে কোহলি জুটিতে পঞ্চাশ রানের পার্টনারশির করার পর, তিনি তাঁর ২৮তম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন এবং ষষ্ঠ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে ১৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। যা ভারতকে ১০০ রানের কাছাকাছি লিড পেতে সাহায্য করে।
কোহলি এবং অক্ষর দু'জনে মিলেই অস্ট্রেলিয়ান বোলিংকে ছিন্নভিন্ন করতে থাকেন। বিশেষ করে অক্ষর প্যাটেল তাঁর হাফসেঞ্চুরি পূূরণ করার পরে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন। তিনি ১০ বলের ব্যবধানে তিনটি ছক্কা এবং একটি চার মারেন। আর আমদাবাদের দর্শকরা তাঁদের ঘরের ছেলের এই তাণ্ডবটা বেশ উপভোগ করেন।
৫০ করার পর অক্ষর যে তাণ্ডব শুরু করেছিলেন, তার প্রথম শটটিই ছিল ছক্কা। ম্যাথিউ কুনম্যানকে তিনি লম্বা ছক্কা হাঁকান। বাঁ-হাতি ব্যাটাররা সব সময়ে বাঁ-হাতি স্পিনারদের মুখোমুখি হতে পছন্দ করেন। কারণ শট খেলা তাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। আর অক্ষর সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছেন। তিনি ১৬৮.৩ ওভারে কুনম্যানের বলটি সুইপ করেন। কিছুটা বেন্ড হয়ে ৮০-মিটার লম্বা ছক্কা হাঁকান।
বলটি সোজা গ্যালারিতে চলে যায়। সেখানে একজন যুবক বলটি পেয়ে আবার ফিরিয়ে দেন। এ দিকে কোহলি ননস্ট্রাইকার জোনে দাঁড়িয়ে অক্ষরের ছক্কা উপভোগ করেছিলেন। কোহলি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বলটির গতিপথ অনুসরণ করেছিলেন। এবং অক্ষরের নিখুঁত শটটি তিনি রীতিমতোই উপভোঘই করছেন। যা তাঁর বডিল্যাঙ্গোয়েজে পরিষ্কার। গাল ভরা হাসির মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দেন, কতটা খুশি হয়েছেন। এবং হাত তুলে জানিয়ে দেন, ঠিক আছে সব।
কোহলি এবং অক্ষর একসঙ্গে একটি বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছে। এবং সেটা খুব মজা করে খেলেছে। তাদের মধ্যে ক্রমাগত কাথবার্তা চালাচালি এবং হাসাহাসিই ইঙ্গিত করে যে, তাঁরা কতটা খোলা মেজাজে ব্যাটিং উপভোগ করছিলেন। রবিবার অক্ষর তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেন। তিনি ১১৩ বলে ৭৯ রান করেন এবং কোহলির সঙ্গে মিলে ভারতকে ভালো জায়গায় নিয়ে যান।
অক্ষর এবং কোহলির অত্যন্ত বিনোদনমূলক পার্টনারশিপের সমাপ্তি ঘটে, যখন ১৭২.৩ ওভারে তারকা অলরাউন্ডার আউট হন। তখন ভারতের স্কোর ৫৫৫। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন অক্ষর। আর কোহলির ক্র্যাম্প হওয়ার পরেই তিনি আউট হন। তবে কোহলির উইকেটই ছিল শেষ উইকেট। ১৮৬-তে কোহলি আউট হতে ভারতও অলআউট হয়ে যায় ৫৭১ রানে। শ্রেয়স আইয়ার খেলতে না পারার কারণ ৯ উইকেট পড়তে ভারতের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ভারত ৯১ রানের লিড পায়। প্রসঙ্গত, অজিরা প্রথম ইনিংসে ৪৮০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বড় চমক, বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- মালয়েশিয়া প্রবাস: যেভাবে আবেদন করবেন সম্পূর্ণ বিনা খরচে
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি