সব ফরমেটের দল থেকেই বাদ পড়বেন মিরাজ

৬ জানুয়ারি ২০১৯ সালে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে বিপিএলে তাওহীদ হৃদয়ের বিপিএলে অভিষেক হয়েছিলো। ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের একজন সদস্য ছিলো তাওহীদ হৃদয়। আফিফের মতো তাওহীদ হৃদয়কে নিয়েও সবার এক্সপেকটেশন ছিলো অনেক। কিন্তু অভিষেক ম্যাচে তাওহীদ হৃদয় কুমিল্লার বিপক্ষে করলেন ২৪ বলে ৮ রান। বাউন্ডারি মেরেছিলেন মাত্র ১ টা। তারপর যা হবার তা ই হলো। আর ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য তাওহীদ হৃদয়ের হয় নি। কারণ তার ব্যাটিং এপ্রোচ একেবারেই টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিলো না।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৮ ইনিংসে ১১৭.৫১ স্ট্রাইক রেট এবং ২৭.৭ এভারেজে ১৯৪ রান করেছিলেন। এরপর ২০২২ সালের বিপিএলে তার পারফরম্যান্স ছিলো আরও ভয়াবহ। ১০ ইনিংসে ৯৭.৮৪ স্ট্রাইক রেট এবং ১৭ এভারেজে ১৩৬ রান করেছিলেন। পাশাপাশি কুমিল্লার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের শেষ ওভারে বরিশালকে বিপিএল ট্রফি জিতাতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন।
বিপিএলে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং এপ্রোচ দেখে ধরেই নেওয়া হয়েছিলো টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ার বড় হবার সম্ভাবনা কম । কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে হৃদয় হয়ে উঠলেন পুরো দস্তুর একজন টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান। নিজের ব্যাটিং টেকনিকে নিয়ে আসলেন আমূল-পরিবর্তন। ২০২২ এর হৃদয়ের সাথে ২০২৩ সালের বিপিএলের তাওহীদ হৃদয়ের মধ্যে দেখা গেলো আকাশ পাতাল তফাৎ। যার ফলে জাতীয় দলের দরজাটাও দ্রুত খুলে গেল হৃদয়ের। এখন তিনি বাংলাদেশের সাদা বলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান।
অন্যদিকে মিরাজের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে ২০১৬ সালে। শারীরিক গঠনের দিক দিয়ে হৃদয়ের থেকে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই। বরং হৃদয়ের থেকে তাকে আরও বেশি হেলদি মনে হয় আমার কাছে। প্রেশার মোমেন্টে ব্যাটিং করে অনেক ম্যাচ মিরাজ আমাদের জিতিয়েছেন। একটা সময় ভেবেছিলাম সিনিয়র প্লেয়াররা অবসরে যাবার পর মিরাজ আমাদের মিডেল অর্ডারের স্তম্ভ হবে।
কিন্তু মিরাজ যেন আধুনিক ক্রিকেটের সাথে তাল মিলাতে পারছে না। আর এখন মনে হচ্ছে সিনিয়ররা অবসরে চলে গেলেও তাকে সবসময় ৬/৭ নম্বরে ব্যাটিং করা লাগবে।
এই ৮ বছরে মিরাজের বোলিংয়ে আমি এক্সট্রা কোনো কাজ করতে দেখি নাই। এমনকি তার ব্যাটিং টেকনিকেও আহামরি পরিবর্তন আনে নাই।
টি২০ ফরম্যাটে আগে মাহেদীর সাথে তার কম্পিটিশন হতো। এখন রিশাদ ও সেই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। এইভাবে চলতে থাকলে একটা সময় ওয়ান ডে ফরম্যাটেও মিরাজের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে।
মিরাজের উচিত হৃদয়ের মতো তার ব্যাটিং টেকনিকে পরিবর্তন আনা। কারণ তাকে সবসময় ৭/৮ নম্বরেই ব্যাটিং করা লাগবে। সে যদি এই পরিবর্তন না আনে তাহলে একটা সময় তাকে রিগ্রেট ফিল করতে হবে যখন তার ওয়ান ডে দলের মূল একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়েও সংশয় তৈরি হবে।
২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপে মিরাজের জন্য এখন সুযোগ পাওয়া কঠিন। অদূর ভবিষ্যতে বোলিং কিংবা ব্যাটিংয়ে আহামরি পরিবর্তন না আনলে এশিয়ার বাহিরে যখন ওয়ান ডে খেলতে যাবে তখন ওয়ান ডের একাদশ থেকেও বাদ পড়বে। মিরাজের উচিত তার ব্যাটিং পজিশন অনুযায়ী পাওয়ার হিটিং স্কিলস রপ্ত করা। এতে করে তার ক্যারিয়ারটা আরও সমৃদ্ধ হবে এবং বাংলাদেশ ও ভালো মানের একজন ফিনিশার পাবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চুপ্পুকে সরিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আগে নতুন রাষ্ট্রপতি চান পিনাকি
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম ওয়ানডেতে লড়াকু টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা
- PSG বনাম ইন্টার মায়ামি: কখন, কোথায় ও কীভাবে দেখবেন লাইভ ম্যাচ
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ম্যাচ প্রিভিউ, একাদশ ও ম্যাচ শুরুর সময়
- ৮ গোল: শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম বাহারাইনের মধ্যকার ম্যাচের ৯০ মিনিটের খেলা
- মাহিয়া মাহির মৃত্যু গুজব: সত্য ও মিথ্যার বিশ্লেষণ
- ফাফ ডু প্লেসির ডাবল সেঞ্চুরি রেকর্ডে কাঁপছে ক্রিকেট বিশ্ব
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ : দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত ১৬ দলের, সময় সূচি প্রকাশ
- জেতা ম্যাচ হেরে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ
- নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব পয়েন্ট টেবিল: গ্রুপ সি-তে উড়ছে বাংলাদেশ
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ৪-০ গোলে শেষ হলো ম্যাচ
- শান্তর পদত্যাগ, নতুন টেস্ট অধিনায়কত্বে এগিয়ে যিনি
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার: আবারও গোল, ৯০ মিনিটের খেলা শেষ
- বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার: লাইভ দেখবেন যেভাবে