বাজারে ইতিবাচক সাড়া: ১৭২ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে উদ্যোক্তাদের ভূমিকা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তালিকাভুক্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা পরিচালকরা নিজেরাই শেয়ার কিনে সেই আস্থার বার্তা দিয়েছেন। এ সময় তারা পাবলিক মার্কেট থেকে ১৭২ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন বলে জানা গেছে ডিএসই সূত্রে।
আত্মবিশ্বাসের বার্তা: শেয়ার কেনার হিড়িক
এই তিন কোম্পানি হলো—স্কয়ার ফার্মা, এসিআই লিমিটেড এবং অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার। নিজেদের কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির প্রতি দৃঢ় সংকল্পেরই বার্তা দিয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। স্কয়ার ফার্মার চার পরিচালক ১৩১ কোটি টাকার, এসিআই লিমিটেডের একজন পরিচালক ৪০ কোটি টাকার এবং অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের একজন পরিচালক ১ কোটিরও বেশি টাকার শেয়ার কিনেছেন।
স্কয়ার ফার্মা: স্থির প্রত্যয়ের ছাপ
স্কয়ার ফার্মার চার পরিচালক জানুয়ারি-মার্চ মাসে মোট ৬০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি উদ্যোক্তা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ১৫ লাখ শেয়ার কেনেন।
৪ মার্চ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তপন চৌধুরী একই পরিমাণ শেয়ার কেনেন।
১০ মার্চ পরিচালক স্যামুয়েল চৌধুরী ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন।
১২ মার্চ পরিচালক রত্না পাত্র ১৫ লাখ শেয়ার কেনেন।
শেয়ার কেনার সময় স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ছিল ২১৮ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২১৫ টাকা। সে হিসেবে ৩০ লাখ শেয়ারের ক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। বর্তমানে শেয়ারটি ২১৯-২২০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে, যা এই বিনিয়োগের সম্ভাব্য লাভের ইঙ্গিত দেয়।
এসিআই লিমিটেড: আস্থার বিনিয়োগ
এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. আরিফ দৌলা ১০ ফেব্রুয়ারি ২৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন এবং ৬ মার্চ তা সম্পন্ন করেন।
এই সময়ে এসিআই লিমিটেডের শেয়ারের সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ছিল ১৬৯ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ১৫১ টাকা ৬০ পয়সা। সেই হিসেবে ২৫ লাখ শেয়ারের মোট ক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এই বিনিয়োগ এসিআইর প্রতি তার দৃঢ় বিশ্বাসকেই প্রমাণ করে।
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার: উত্তরাধিকারের ছোঁয়া
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের প্রয়াত উদ্যোক্তা পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ২২ জানুয়ারি ৫০ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন এবং ৯ মার্চ তা সম্পন্ন করেন।
শেয়ার কেনার সময়ে শেয়ারের সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ছিল ২০৮ টাকা ২০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ১৯৯ টাকা ২০ পয়সা। সেই হিসেবে এই ৫০ হাজার শেয়ারের মোট ক্রয়মূল্য দাঁড়ায় ১ কোটিরও বেশি টাকা।
বাজারের প্রতিক্রিয়া: ইতিবাচক বার্তা
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, উদ্যোক্তাদের শেয়ার ক্রয়ের ঘটনা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ায়। কোম্পানির শেয়ারমূল্য স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি এটি বাজারে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করে। বিনিয়োগকারীদের চোখে যখন উদ্যোক্তারা নিজেদের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন, তখন তারা ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল মনে করেন।
শেয়ারবাজারে আস্থার বাতাস বইতে শুরু করেছে—এই শেয়ার ক্রয় সেই বার্তাই দিচ্ছে।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- সিলেটে ক্রিকেট মাঠে শোকের ছায়া: বিসিবি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)