সব চেষ্টা ব্যর্থ, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক:
একদিকে আন্দোলন, অন্যদিকে কমিশনের উদ্যোগ—তবুও সূচক টালমাটাল, লেনদেনেও ধস
দেশের শেয়ারবাজার যেন এখন এক দীর্ঘশ্বাসের নাম। সূচকের লাল রঙ আর বিনিয়োগকারীদের মুখের বিষাদের ছায়া—এই দুটি ছবি প্রতিদিনই যেন আরও গভীর হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে, তবুও ফিরছে না হারানো আস্থা। আর বিনিয়োগকারীরা? তারা এখন রাস্তায়, প্ল্যাকার্ড হাতে, স্লোগানে স্লোগানে খুঁজছে ভরসার আলো।
সূচক কমছে, লেনদেনের গতি থেমে যাচ্ছে
২৩ এপ্রিল, বুধবার। দিনের শুরুতে সূচকে খানিকটা আশা দেখা গেলেও শেষ হাসি হাসলো না কেউ। দিনের শেষে ঢাকার শেয়ারবাজারে ফের পতনের ছবি।
ডিএসই প্রধান সূচক ৪.০৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫,০২২ পয়েন্টে
ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৭.৬৭ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ১,৮৬৭ পয়েন্টে
ডিএসই শরীয়াহ সূচক কমেছে ০.৬৩ পয়েন্ট, নেমে এসেছে ১,১২১ পয়েন্টে
লেনদেনও কমেছে: আজ মোট লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩০০ কোটি ৬১ লাখ টাকার, যেখানে আগের দিন ছিল ৩৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
৩৯৫টি কোম্পানির মধ্যে:
দাম বেড়েছে মাত্র ১১৯টির
কমেছে ২১৪টির
অপরিবর্তিত ছিল ৬২টি
কমিশনের চেষ্টা আছে, কিন্তু ফল নেই
শেয়ারবাজারে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার কিনতে আইসিবিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ব্রোকারদের জন্যও রিপোর্ট প্রকাশে ছাড় দিয়েছে কমিশন।
তবুও বিনিয়োগকারীদের মুখে ভরসার আলো দেখা যায়নি। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু চমকপ্রদ ঘোষণা দিয়ে আস্থা ফেরানো সম্ভব নয়—দরকার কার্যকর সুশাসন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ এবং নতুন বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা।
বিনিয়োগকারীদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ
আজ দিনের শেষ দিকে, বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ) এক জোরালো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কমিশনের সদস্য রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর দাবিতে তারা রাস্তায় নেমেছে।
বিক্ষোভের প্রভাবেও বাজারে সাময়িক উত্তেজনা ছিল। কিন্তু সেটিও ধরা পড়েনি সূচকে। বাজার দিনের ৮০ ভাগ সময় ভালো থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা রক্ষা পায়নি পতনের হাত থেকে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই চিত্র
লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার
সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫৪.০২ পয়েন্ট, এসে দাঁড়িয়েছে ১৪,০১১ পয়েন্টে
২০৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১১৩টির
যা করা দরকার এখনই
বিশ্লেষকদের মতে, শুধু তদারকি বা বিশেষ সুবিধা যথেষ্ট নয়। বাজারে আস্থা ফিরাতে হলে নিতে হবে কিছু সাহসী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো
সুশাসনের নিশ্চয়তা
নতুন বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন—এসব ছাড়া বাজারের পতন ঠেকানো অসম্ভব।
রাজিব/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- জামায়াত, বিএনপি, এনসিপি অনড়, সত্যি হতে চলেছে সেনা প্রধানের ভবিষ্যদ্বাণী
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বিক্রেতা সংকট: সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পেয়ে হল্টেড ৮ কোম্পানি
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- চমক দেখালো ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৮ কোম্পানির শেয়ার
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৮ আগস্ট ২০২৫)
- বিক্রেতা সংকটে হল্ডেট ৩ কোম্পানি
- ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে চমক
- উপদেষ্টা আসিফের বাবা বিল্লাল মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হোক, সবকিছু বেরিয়ে যাবে
- ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনে যুগান্তকারী পরিবর্তন, বয়সেও আসছে ছাড়
- সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ: বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন কোথায় ও লাইভ দেখার উপায়
- আজ বাংলাদেশে ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য
- দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মানতে হবে যেসব শর্ত