শেয়ারবাজার সংকট: বিএমবিএর পাঁচ বছরের সমাধান প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) দেশের শেয়ারবাজারে ক্রমবর্ধমান সংকট এবং নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যা সমাধানের জন্য পাঁচ বছরের সময়সীমার পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে। এই পরিকল্পনা শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
শেয়ারবাজারের সংকট এবং নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিস্থিতি
দেশের শেয়ারবাজারে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে পতন ঘটছে, যা দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর নেগেটিভ ইক্যুইটি এবং আনরিয়ালাইজড লসের কারণে ব্যাংকগুলোর জন্য বড় ধরনের আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের মূলধন হারাচ্ছেন, যা বাজারের স্থিতিশীলতাকে আরও বিপন্ন করছে।
বিএমবিএর পাঁচ বছরের পরিকল্পনা
বিএমবিএ তাদের প্রস্তাবনায় পাঁচ বছরের সময়সীমায় ধাপে ধাপে নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে, ২০২৫ সালে ৫%, ২০২৬ সালে ১০%, ২০২৭ সালে ১৫%, ২০২৮ সালে ২০% এবং ২০২৯ সালে ২৫% নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ধাপে ধাপে তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে সহায়তা করবে এবং শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে।
বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুনের বক্তব্য
বিএমবিএর সভাপতি মাজেদা খাতুন বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের ধারাবাহিক পতন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বিপর্যয়কর। যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে এটি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। বিএমবিএ বিশ্বাস করে যে, একটি ধাপে ধাপে সমন্বয় পরিকল্পনা বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতামত
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএমবিএর প্রস্তাবিত পাঁচ বছরের পরিকল্পনা একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হতে পারে, তবে এটি সফল হতে হলে কার্যকরভাবে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে হবে। তারা সতর্ক করেছেন যে, যদি এই পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করা হয়, তবে নেগেটিভ ইক্যুইটির সমস্যা আরও বাড়তে পারে এবং শেয়ারবাজারে আরও সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
এখন বিএমবিএ তাদের প্রস্তাব বিএসইসি এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠাবে, যাতে দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়। প্রস্তাবিত পরিকল্পনাটি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা শেয়ারবাজারে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
এই প্রস্তাবনা শেয়ারবাজারের সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হতে পারে, তবে এর জন্য সঠিক পরিকল্পনা এবং সুষ্ঠু বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
FAQ:
বিএমবিএর পাঁচ বছরের পরিকল্পনা কি?
বিএমবিএ একটি পাঁচ বছরের সময়সীমার পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যার মধ্যে ধাপে ধাপে নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে বিভিন্ন হার বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
শেয়ারবাজারের সংকটের কারণ কি?
শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন, নেগেটিভ ইক্যুইটি এবং আনরিয়ালাইজড লসের কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যা মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থাকে বিপন্ন করেছে।
বিএমবিএ কেন পাঁচ বছরের সময়সীমা চেয়েছে?
বিএমবিএ মনে করে যে, পাঁচ বছরের সময়সীমা দিয়ে ধাপে ধাপে সমন্বয় করলেই ব্যাংকগুলোর আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।
বিএমবিএর প্রস্তাবের সফলতা কি আসবে?
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হতে পারে, তবে সফল হতে হলে পরিকল্পনাটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
জামিরুল ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- নতুন আইনের ইঙ্গিত, শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে ১০ বড় সিদ্ধান্ত
- গুজব না সত্যি: মারা গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ
- এএসপি আত্মহত্যার আসল কারণ জানালেন তার ভাই
- সোনার দাম কমল: ৯ মে থেকে কার্যকর নতুন মূল্য তালিকা
- “না মারলে ঘটত বড় কিছু”—নেহালের এই কথায় দেশজুড়ে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারের সংকটে এনসিপির শক্তিশালী প্রস্তাব
- সিসিএর সুদের টাকা কে পাবে না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন
- রাজশাহীর আমের ক্যালেন্ডার প্রকাশ: কোন জাতের আম কবে পাকে
- যুদ্ধবিরতির পর কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
- খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে সারজিস আলমের বার্তা
- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে কৌশলগত বার্তা
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
- শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের পলায়ন: বিদেশে কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন তারা
- যুদ্ধের মুখে যুদ্ধবিরতি! ভারত-পাকিস্তানকে থামাল কে?
- ব্যালন ডি’অর ২০২৫: কারা আছেন শীর্ষ ১০-এ?