শেয়ারবাজারে হস্তক্ষেপ চায় বিনিয়োগকারীরা, ১৫ দফা প্রস্তাব সরকারের কাছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিত দাবিপত্রে বাজার পুনরুদ্ধারে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান
পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে জাতীয় বিনিয়োগকারী সংগঠন পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন (ক্যাপমিনাফ)। সোমবার (১৩ মে) প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার কাছে ১৫ দফা দাবি সম্বলিত একটি লিখিত প্রস্তাবনা পেশ করেছে সংগঠনটি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বাজারে ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা, বিএসইসির চেয়ারম্যান অপসারণ, সুদের হার কমানো, মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সংস্কার, ও দুর্নীতিতে জড়িতদের শাস্তি।
ক্যাপমিনাফের সভাপতি রুহুল আমিন আকন্দ বলেন, “শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট এখন চরমে। সরকার যদি এখনই সরাসরি হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে বাজারে আরও ধস নামতে পারে। আমরা আশা করছি, সরকার অতীতের মতো এবারও সাহসী পদক্ষেপ নেবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারতসহ অনেক দেশেই সরকার পুঁজিবাজারে সক্রিয় হস্তক্ষেপ করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। বাংলাদেশের বাজারেও এখন একই রকম উদ্যোগ সময়ের দাবি।
বিনিয়োগকারী ঐক্য ফাউন্ডেশনের ১৫ দফা প্রধান দাবি:
১. বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ।
২. ব্যাংকের সুদের হার ১০% এর নিচে নামানো।
৩. বিএসইসি চেয়ারম্যান অপসারণ ও নতুন অভিজ্ঞ ব্যক্তির নিয়োগ।
৪. দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ইনসেনটিভ।
৫. সালমান এফ. রহমান ও হাসান তাহের ইমামের শাস্তির দাবি।
৬. উদ্যোক্তাদের ৩০% শেয়ার ধারণে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা।
৭. আইসিবির ৩ হাজার কোটি টাকার নিরপেক্ষ রিপোর্ট প্রকাশ।
৮. মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও শক্তিশালীকরণ।
৯. ক্যাটাগরি পরিবর্তনের দায়ে ইস্যু ম্যানেজার ও নিরীক্ষকদের আইনের আওতায় আনা।
১০. কোয়ার্টারলি রিপোর্টে স্বচ্ছতা ও স্ট্যান্ডার্ড ডিভিডেন্ড উৎসাহ।
১১. ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর করমুক্ত আয় ৭ লাখ টাকায় উন্নীত এবং মার্জিন ঋণের ১০০% সুদ মওকুফ।
১২. মূলধনী মুনাফার উপর ৫% কর আরোপের প্রস্তাব।
১৩. দুর্বল কোম্পানির তালিকাভুক্তি বন্ধ ও বাই-ব্যাক আইন বাস্তবায়ন।
১৪. ইনভেস্টর ওয়েলফেয়ার প্রটেকশন ফান্ড গঠন ও AGM-এর সরাসরি আয়োজন।
১৫. প্রতি মাসে সরকার-বিনিয়োগকারী-নিয়ন্ত্রকদের সমন্বয়ে সমন্বয় সভা আয়োজন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বাজারের সংকট নিরসনে পলিসি পরিবর্তনের পাশাপাশি দ্রুত, সাহসী ও দায়বদ্ধ হস্তক্ষেপই এখন সবচেয়ে প্রয়োজন। অন্যথায়, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ভরসা চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে।
FAQ (প্রশ্নোত্তর):
প্রশ্ন ১: বিনিয়োগকারীরা কেন সরকারের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন?
উত্তর: বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা, তারল্য সংকট ও বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার কারণে তারা সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা ও নীতিগত হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন।
প্রশ্ন ২: ১৫ দফা দাবিতে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?
উত্তর: বিশেষ প্রণোদনা, বিএসইসি চেয়ারম্যান অপসারণ, সুদের হার হ্রাস, দুর্নীতির তদন্ত, মিউচ্যুয়াল ফান্ড সংস্কারসহ মোট ১৫টি প্রস্তাব রয়েছে।
প্রশ্ন ৩: এই প্রস্তাব কাকে দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের কাছে লিখিত আকারে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ৪: প্রস্তাব বাস্তবায়িত না হলে কী হতে পারে?
উত্তর: বাজারে আস্থার আরও পতন ঘটবে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জামিরুল ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- নতুন আইনের ইঙ্গিত, শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে ১০ বড় সিদ্ধান্ত
- গুজব না সত্যি: মারা গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ
- এএসপি আত্মহত্যার আসল কারণ জানালেন তার ভাই
- সোনার দাম কমল: ৯ মে থেকে কার্যকর নতুন মূল্য তালিকা
- “না মারলে ঘটত বড় কিছু”—নেহালের এই কথায় দেশজুড়ে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারের সংকটে এনসিপির শক্তিশালী প্রস্তাব
- সিসিএর সুদের টাকা কে পাবে না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন
- রাজশাহীর আমের ক্যালেন্ডার প্রকাশ: কোন জাতের আম কবে পাকে
- যুদ্ধবিরতির পর কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
- খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে সারজিস আলমের বার্তা
- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে কৌশলগত বার্তা
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
- শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের পলায়ন: বিদেশে কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন তারা
- যুদ্ধের মুখে যুদ্ধবিরতি! ভারত-পাকিস্তানকে থামাল কে?
- ব্যালন ডি’অর ২০২৫: কারা আছেন শীর্ষ ১০-এ?