বাজারে সেল প্রেসারের ঝড়, আতঙ্ক ছড়াল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে
নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় কিছুটা ইতিবাচক আবহে। কিন্তু দুপুর গড়াতেই বাজারে নামে অস্বাভাবিক বিক্রির ঝড়। মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের ব্যবধানে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়ে নেমে আসে একপ্রকার আতঙ্ক।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দিনের শুরুতে প্রায় ২০ পয়েন্ট বাড়লেও দুপুর ১টার মধ্যে তা আগের দিনের তুলনায় ৪০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি বড় বিনিয়োগকারী গ্রুপের হঠাৎ শেয়ার বিক্রি বাজারে সেল প্রেসারের ঝড় বইয়ে দেয়। এই চাপ ছিল অস্বাভাবিক ও অপ্রত্যাশিত, যার ফলে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্রির সবচেয়ে বেশি চাপ দেখা যায় ব্যাংক, বিমা, আইটি, প্রকৌশল ও ফাইন্যান্স খাতে। দিনের মাঝামাঝি সময়ে বাজারজুড়ে বিক্রেতার আধিক্য দেখা দেয়, ফলে শেয়ারের দরপতন শুরু হয় একের পর এক।
বেলা ১টা পর্যন্ত ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় মাত্র ১৮০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যেখানে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই সময়ে লেনদেন হতো ৩০০ কোটির বেশি।
বাজারের আচমকা এই আচরণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারীরা বিপাকে পড়েছেন।এক বিনিয়োগকারী মো. শামীম বলেন,
“সকালে সব কিছু স্বাভাবিক লাগছিল। হঠাৎ দেখি সব লাল। মনে হচ্ছে কেউ বড় কিছু জানে, যা আমরা জানি না।”
আরেকজন বিনিয়োগকারী আবদুল হক বলেন,
“তিন দিন ধরেই ক্ষতির মধ্যে আছি। আজ তো আরও বাজে অবস্থা। বাজারের দিকটাই বুঝতে পারছি না।”
বাজার বিশ্লেষক মো. মনিরুজ্জামান মনে করেন,
“সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় বাজারে আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আজকের সেল প্রেসার সেই আস্থাহীনতারই বহিঃপ্রকাশ।”
তিনি সতর্ক করে বলেন,
“যদি দ্রুত নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক হস্তক্ষেপ না আসে, তাহলে বাজারে আরও বড় ধস নামতে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এখন প্রয়োজন স্থিতিশীল, স্বচ্ছ ও দীর্ঘমেয়াদী পলিসি পরিবেশ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে অবিলম্বে সংকট-পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে।
আজকের বাজারে মাত্র ৫০টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে, বিপরীতে ২৯১টি প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে।
সব মিলিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে আজকের দিনটি হয়ে থাকল একটি আতঙ্কের দিন, যা বিনিয়োগকারীদের মনে রেখে দেবে গভীর উদ্বেগের ছাপ।
FAQ (প্রশ্নোত্তর):
প্রশ্ন ১: শেয়ারবাজারে আজ কী হয়েছে?
উত্তর: আজ (১৫ মে) দুপুরের দিকে হঠাৎ করে বড় বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপে বাজারে ধস নামে। সূচক ৪০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।
প্রশ্ন ২: কোন খাতের শেয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
উত্তর: ব্যাংক, বিমা, আইটি, প্রকৌশল ও ফাইন্যান্স খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য সবচেয়ে বেশি কমে গেছে।
প্রশ্ন ৩: কেন এই ধস?
উত্তর: বাজার বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, নীতিনির্ধারণী দুর্বলতা এবং হঠাৎ বিক্রির চাপ এই পতনের প্রধান কারণ।
প্রশ্ন ৪: বাজারে স্বাভাবিকতা ফিরবে কবে?
উত্তর: বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্রুত নীতিগত হস্তক্ষেপ এবং আস্থার পুনঃস্থাপন ছাড়া স্বাভাবিকতা ফিরবে না।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আইপিএলনিলাম: যাদের দলে জায়গা হলো তাসকিনের
- আজকের সোনার দাম: (বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫)
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শেষ হলো ম্যাচ জানুন ফলাফল
- earthquake today : গভীর রাতে ৪.০ মাত্রার ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়?
- আইপিএলনিলাম শেষ,ডেভন কনওয়ে, জনি বেয়ারস্টোদের দলে রিশাদ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বোলিংয়ে বাংলাদেশ খেলাটি সরাসরি Live দেখুন এখানে
- আইপিএল নিলাম: যত টাকায় দল পেলেন সাকিব
- আজকের সোনার দাম: (বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫)
- লিভার নষ্টের প্রথম সংকেত ত্বকে! এই ৪টি লক্ষণ অবহেলা করবেন না
- সিঙ্গাপুরেচিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ অবস্থা
- রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে পে-স্কেল নিয়ে আসলো যেসব সিদ্ধান্ত
- ডিএসইর দুই নতুন পরিচালকের নাম ঘোষণা
- চলছে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি Live দেখুন এখানে
- আজ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত
- বদহজম কেন হয়? লক্ষণ, লুকানো কারণ ও নিরাময়ের সহজ কৌশল