রেকর্ড আয় যমুনা ব্যাংকের, শেয়ারদামে উল্টো ধাক্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: যমুনা ব্যাংক ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে যেন মুনাফার মঞ্চে খেলেছে দুর্দান্ত এক ইনিংস। জানুয়ারি-মার্চ মেয়াদে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ০৪ পয়সা—যেখানে আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৮৬ পয়সা। শতাংশের ভাষায় বললে, ইপিএস বেড়েছে প্রায় ৯.৬৭ শতাংশ। এত শক্তিশালী আর্থিক প্রতিবেদন বাজারে সাধারণত ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এর উল্টো চিত্রই দেখা গেলো দেশের শীর্ষ শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এদিন যমুনা ব্যাংকের শেয়ারদাম কমেছে ১২.৮৯ শতাংশ—মূল্যহারে যা ২ টাকা ৫০ পয়সা। এটি ছিল দিনটির সর্বোচ্চ দরপতন। এমন এক দিনে যখন কোম্পানিটি মুনাফায় উল্লম্ফন দেখিয়েছে, তখন বিনিয়োগকারীদের একাংশ হতবাক।
তবে এই পতনের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে একটি 'গাণিতিক ব্যাখ্যা'—ডিভিডেন্ড অ্যাডজাস্টমেন্ট। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য যমুনা ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে ১৭.৫০% নগদ এবং ৬.৫০% স্টক ডিভিডেন্ড। এই ঘোষণার ভিত্তিতে ১৪ মে ছিল কোম্পানির রেকর্ড ডেট। এরপরদিন, অর্থাৎ ১৫ মে, শেয়ার লেনদেন হয়েছে ডিভিডেন্ড পরবর্তী সমন্বিত দামে।
রেকর্ড ডেটের আগের দিন যমুনা ব্যাংকের শেয়ারদাম ছিল ১৯.৪০ টাকা। ডিভিডেন্ড হিসাব করে অ্যাডজাস্টেড মূল্য দাঁড়ায় ১৬.৫৫ টাকা। অথচ দিন শেষে শেয়ারটি ক্লোজ করে ১৬.৯০ টাকায়, যা অ্যাডজাস্টেড দামের চেয়ে ২.১ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ, বাজারে দেখা যাওয়া ‘দরপতন’টি প্রকৃতপক্ষে ছিল একটি টেকনিক্যাল সমন্বয়, বাস্তব পতন নয়।
এই ধরনের অ্যাডজাস্টমেন্ট অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর কাছে এখনও ধোঁয়াশাপূর্ণ। ফলে, ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত মূল্য সংশোধনকে ভুল ব্যাখ্যা করে অনেকে বিক্রির চাপ সৃষ্টি করেন।
পরিসংখ্যান বলছে, যমুনা ব্যাংক মৌলভিত্তিতে এখনো শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। মুনাফায় দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি, ধারাবাহিক ডিভিডেন্ড, এবং নির্ভরযোগ্য কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যাংক খাতের মধ্যেই স্থিতিশীল করে তুলেছে।
তবুও বাজারের সামগ্রিক দুর্বলতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার প্রতিফলন পড়েছে এই শেয়ারে।
মুনাফার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও শেয়ারদামের চার্টে নেমে এসেছে কৃত্রিম এক ঢেউ। সংখ্যার ভাষায় বললে, যমুনা ব্যাংক যেন ‘সংখ্যাতত্ত্বে জয়ী, বাজারে পরাজিত’।
FAQ (প্রশ্ন ও সংক্ষিপ্ত উত্তর):
প্রশ্ন ১: যমুনা ব্যাংকের শেয়ারদাম কেন কমলো মুনাফা বাড়ার পরও?
উত্তর: ডিভিডেন্ড রেকর্ড ডেটের পর শেয়ারদামে টেকনিক্যাল সমন্বয় হয়েছে, এটি প্রকৃত দরপতন নয়।
প্রশ্ন ২: যমুনা ব্যাংকের ইপিএস কত হয়েছে?
উত্তর: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ০৪ পয়সা।
প্রশ্ন ৩: যমুনা ব্যাংক কী ধরনের ডিভিডেন্ড দিয়েছে?
উত্তর: কোম্পানিটি ১৭.৫০% ক্যাশ ও ৬.৫০% স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
প্রশ্ন ৪: এই দরপতন বিনিয়োগকারীদের জন্য কতটা উদ্বেগজনক?
উত্তর: এটি বাজারভিত্তিক টেকনিক্যাল সমন্বয়, তাই আতঙ্কের কারণ নেই।
জামিরুল ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- স্বর্ণের বাজারে বড় পরিবর্তন, ভরিতে কমলো ৭,৩২৫ টাকা
- সোনার দাম কমল: ৯ মে থেকে কার্যকর নতুন মূল্য তালিকা
- “না মারলে ঘটত বড় কিছু”—নেহালের এই কথায় দেশজুড়ে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারের ঝুঁকি নিয়ে গভর্নর সতর্ক, জানিয়ে দিলেন বিনিয়োগকারীদের
- শেয়ারবাজারের সংকটে এনসিপির শক্তিশালী প্রস্তাব
- আসন্ন বাজেটে শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরাতে সরকারের ৭ পদক্ষেপ
- ১০ বলে ২৭ রান! রাকিবুলের ছক্কা বৃষ্টি আর জয়ের উল্লাস
- যুদ্ধবিরতির পর কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
- স্বর্ণের দাম কমেছে, এখনই কিনুন!
- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে কৌশলগত বার্তা
- বাংলাদেশ ২-২ ড্র: সাফ অনূর্ধ্ব-১৯-এ মালদ্বীপের সাথে সমতা
- শেষ ওভারে বদলে গেল ম্যাচের দৃশ্যপট, ব্যর্থ আকবরদের প্রচেষ্টা
- শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের পলায়ন: বিদেশে কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন তারা
- যুদ্ধের মুখে যুদ্ধবিরতি! ভারত-পাকিস্তানকে থামাল কে?
- আজ সন্ধ্যা ৬টার আগে হতে পারে ঝড়, সতর্ক ৬ জেলা