শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরাতে পাঁচ সদস্যের দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিনের হতাশা আর অনিশ্চয়তার কুয়াশা যেন কাটতেই চায় না। বিনিয়োগকারীদের স্বপ্নগুলো প্রতিদিনই নতুন করে ভেঙে পড়ছে বাজারের লালচে সূচকে। এই প্রেক্ষাপটে বাজারকে ঘুরে দাঁড় করাতে এবার সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)।
শনিবার (১৭ মে) সংগঠনটির সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। এর আগেও ২৯ এপ্রিল একই অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তাতে কোনো সাড়া না পাওয়ায় এবার যেন আরও জোরালো প্রত্যাশা নিয়ে আবার স্মরণ করিয়ে দিল সংগঠনটি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “জুলাই বিপ্লব ২০২৪”-এর আগে দেশের শেয়ারবাজার ছিল চরম নাজুক। সেই রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর মুহূর্তিক আশার আলো জ্বলেও আবার নিভে গেছে। এখন বাজার যেন ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের নিঃশব্দ আর্তনাদ শোনাচ্ছে। এই বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে তারা চায়, সরকার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বসুক খোলামেলা আলোচনায়।
বিনিয়োগকারীদের সংগঠনটি চিঠিতে জানিয়েছে, পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে চায়। তাদের লক্ষ্য একটাই—বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা, বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ জানানো এবং সম্ভাব্য সমাধানের পথ খোঁজা।
চিঠিতে আরও বলা হয়, “শেয়ারবাজার দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। সেই মেরুদণ্ড এখন ভাঙনের মুখে। আমরা চাই, এই সংকটকে শুধু একটি আর্থিক সমস্যা না ভেবে জাতীয় অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হোক।”
সংগঠনটি মনে করে, বাজারে যে হতাশার স্রোত বইছে, তা থামাতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক সক্রিয়তার কোনো বিকল্প নেই। তারা আশা করছে, এই চিঠির মাধ্যমে সরকার শেয়ারবাজারের হালচাল নিয়ে গভীরভাবে ভাববে এবং দ্রুত কোনো উদ্যোগ নেবে।
অর্থনীতির এই সংকটময় প্রহরে বিনিয়োগকারীরা তাই তাকিয়ে আছে প্রধান উপদেষ্টার দিকে—তিনি কি শুনবেন তাদের আহ্বান? নাকি বাজারের ঘূর্ণাবর্তে আরও ডুবে যাবে আস্থা, স্বপ্ন আর সঞ্চয়ের গল্পগুলো?
FAQ
১. কেন শেয়ারবাজারে আস্থা হারানো সমস্যা তৈরি হয়েছে?
শেয়ারবাজারে দীর্ঘ সময় ধরে সূচকের পতন, লেনদেন কমে যাওয়া এবং বিনিয়োগে অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে গেছে।
২. প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাঁচ সদস্যের দলের সাক্ষাতের উদ্দেশ্য কী?
বাজারের বর্তমান সংকট ও বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান খোঁজার জন্য এই সাক্ষাতের আবেদন করা হয়েছে।
৩. শেয়ারবাজারের আস্থা পুনরুদ্ধারে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে?
নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং শক্তিশালী করা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য উৎসাহমূলক নীতি প্রণয়ন শিগগিরই প্রয়োজন।
৪. বিগত চিঠি পাঠানোর পর এখনো কেন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?
সংগঠনটি জানায় যে, পূর্বের আবেদন সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি, তাই পুনরায় আবেদন জানানো হয়েছে।
জামিরুল ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি