বিদেশি বিনিয়োগ থমকে, শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরাতে কী দরকার?

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘদিন ধরে একটি অস্থির, অনিশ্চিত ও বিনিয়োগ-অবান্ধব পরিবেশে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তার মতে, গত ১৫ বছরে সরকার শেয়ারবাজারকে একটি অনিয়ন্ত্রিত খাতে পরিণত করেছে, যেখানে সুশাসনের অভাব, নীতিনির্ধারকদের স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ স্পষ্ট।
রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ‘শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন।
আমীর খসরু বলেন, “বর্তমানে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে তারা বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের।”
তিনি আরও বলেন, “আমার পরিচিত অনেক ফান্ড ম্যানেজার বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করলেও তারা এখনো অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এবং স্বচ্ছ পরিবেশের জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।”
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “গত কয়েক বছরে শেয়ারবাজারে কাঠামোগত দুর্বলতা প্রকট হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার থেকে পুঁজির বিশাল বহিঃপ্রবাহ ঘটেছে, যা ক্ষুদ্র ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকটে ফেলেছে।”
তার মতে, এই প্রবণতা পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী বিনিয়োগের পরিবেশকে ব্যাহত করেছে এবং বাজারের গভীরতা কমিয়ে এনেছে। একইসঙ্গে তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বায়ত্তশাসন ও জবাবদিহিতা জোরদারের তাগিদ দেন।
বক্তারা বলেন, পুঁজিবাজারে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আগামী বাজেটে করনীতি, ডিভিডেন্ড পলিসি, পেনশন ফান্ড ও ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টমেন্ট প্রসারে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। একইসঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি।
এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ব্রোকার প্রতিনিধিসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য:
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন ধরেই নীতি-নির্ধারণী দুর্বলতা, স্বচ্ছতার অভাব ও নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে। বাজারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সুশাসন, দক্ষ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম নেপালের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- শুরু বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ: ম্যাচটি লাইভ দেখুন এখানে
- বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে করা আরশ খানের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল
- সেনাবাহিনী প্রধানের নতুন ঘোষণা, যা বললেন তিন বাহিনী প্রধান
- প্রকৌশল খাতের ৫ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’ রাজনীতিতে নতুন মোড়
- টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি: বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ লাইভ দেখার সহজ উপায়
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- ক্রিকেট দুনিয়ায় শোকের কালো ছায়া: মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক
- বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে করা শাকিব খানের ফেসুবক পোস্ট ভাইরাল
- বিদায়ী সপ্তাহে ৮ কোম্পানির শেয়ার বছরের সর্বনিম্ন দামে
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৬ আগস্ট ২০২৫)
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম নেপাল লড়াই: ম্যাচটি লাইভ দেখার সহজ উপায়