ঢাকা, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নিয়ন্ত্রকদের উদ্যোগেও ফিরছে না আস্থা, কেন থমকে আছে বাজার?

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ২৫ ১৬:৫৪:৪৮
নিয়ন্ত্রকদের উদ্যোগেও ফিরছে না আস্থা, কেন থমকে আছে বাজার?

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে চলমান নিম্নমুখী প্রবণতা আরও গভীরতর হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা এবং লেনদেনের ঘনঘটায় বাজারে স্থবিরতা স্পষ্ট। ধারাবাহিক এই সংকটের মধ্যে রোববার (২৫ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ও লেনদেন দুই-ই সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০.০৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৭৩৬.৩৩ পয়েন্টে, যা ২০২০ সালের ১৯ আগস্টের পর সর্বনিম্ন অবস্থান। একইসঙ্গে, মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ২৩৫ কোটি ৫১ লাখ টাকায়, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সর্বনিম্ন।

সর্বশেষ কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে প্রায় ৪২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৭৮ কোটি ২ লাখ টাকার বেশি।

সূচক ও লেনদেনের পাশাপাশি বাজারে অংশ নেওয়া কোম্পানির শেয়ারের দরেও নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে ১০০টির দর বেড়েছে, ২১৫টির কমেছে এবং ৮১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে

ডিএসইএস সূচক কমেছে ৪.৬৭ পয়েন্ট, নতুন অবস্থান ১,০৩২.৫৫ পয়েন্ট

ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৬.৭৬ পয়েন্ট, অবস্থান ১,৭৪৬.৫৩ পয়েন্ট

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও পতনের ধারা অব্যাহত

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রোববার ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে সূচক পতন থেমে থাকেনি। সিএএসপিআই সূচক ২৬.৮৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩,২৬৭.০৩ পয়েন্টে।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪টি কোম্পানির মধ্যে ৫৫টির দর বেড়েছে, ৯৫টির কমেছে এবং ৩৪টির দর অপরিবর্তিত ছিল।

নীতিনির্ধারকদের পদক্ষেপের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ

বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।এর মধ্যে রয়েছে:

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহ প্রদান

প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা

বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিল চালু

স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক

তবে এসব পদক্ষেপ বাজারে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেনি। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এখন পর্যন্ত নেওয়া বেশিরভাগ উদ্যোগ মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি, যেখানে বাজারের বর্তমান চাহিদা স্বল্পমেয়াদি, কার্যকর এবং বাস্তবভিত্তিক হস্তক্ষেপ।

বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে নীতিনির্ধারকদের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় বাজার আরও সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ