ঢাকা, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি, বিও ফি তিন ভাগের এক ভাগে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ২৭ ২২:৪৩:২৫
বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি, বিও ফি তিন ভাগের এক ভাগে

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের দ্বার আরও খুলে দিতে সাহসী এক পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত বিও হিসাবের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি তিন ভাগের এক ভাগে নামিয়ে আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ৪৫০ টাকার জায়গায় বিনিয়োগকারীদের এখন মাত্র ১৫০ টাকাই গুনতে হতে পারে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির ৯৫৬তম সভায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। সভা-পরবর্তী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম।

আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে বড় সাত সিদ্ধান্ত: ডেরিভেটিভ লেনদেনের যুগে প্রবেশ, কমল বিও হিসাব ফি

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি কমানোর বিষয়টি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং এটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়াও শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ সিদ্ধান্তটি শুধু ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, বাস্তবায়নের রাস্তাও খুলছে দ্রুত।

নতুনদের জন্য ‘আসার আলো’

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এটি নিঃসন্দেহে এক যুগোপযোগী ও বিনিয়োগবান্ধব সিদ্ধান্ত। অনেক নতুন ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী যারা এতদিন উচ্চ রক্ষণাবেক্ষণ খরচের কারণে শেয়ারবাজারে পা রাখতে সাহস পাননি, তাদের জন্য এটি একপ্রকার ‘আসার আলো’। ফি কমায় বাজারে প্রবেশের ব্যয় কমে যাওয়ায় নতুন বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়বে, ফলে লেনদেন ও তারল্যেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

আস্থা ফেরাতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বেশ চ্যালেঞ্জিং। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো, স্থবিরতা কাটিয়ে গতিশীলতা ফেরানো—এই দুই লক্ষ্য সামনে রেখেই বিএসইসির এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এটি কেবল একটি ফি কমানো নয়, বরং শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণকে গণমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পথে একটি বড় পদক্ষেপ।

ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদ

বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্ট মহলের প্রত্যাশা, এ সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর হলে শেয়ারবাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের পদচারণা বাড়বে, যা বাজারের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে একটি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনে ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে যেন নতুন প্রাণসঞ্চার শুরু হয়েছে—এই ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীদের এমনটাই আশাবাদ। ছোট এক সিদ্ধান্ত, কিন্তু এর প্রভাব হতে পারে বহু দূরপ্রসারী। এখন শুধু দরকার দ্রুত বাস্তবায়ন এবং সদিচ্ছার ধারাবাহিকতা।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

জাপান সফরে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

জাপান সফরে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: দূরপাল্লার কূটনীতির আরেকটি অধ্যায় শুরু করলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ এক... বিস্তারিত