টানা পতনের পর স্বস্তির ইঙ্গিত, আস্থা ফেরাতে কার্যকর পদক্ষেপের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা ছয় কার্যদিবস ধরে চলা দরপতনের ধারা কিছুটা থামল দেশের শেয়ারবাজারে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক সামান্য ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও লেনদেন ছিল আগের দিনের তুলনায় কম। বিনিয়োগকারীরা বাজার পর্যবেক্ষণমূলক মনোভাব বজায় রেখেছেন, পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদের কিছু উদ্যোগ বাজারে আস্থার সংকেত দিয়েছে।
দিনের শুরুতে বাজার ছিল নেতিবাচক প্রবণতায়। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ পয়েন্ট কমে লেনদেন শুরু করে। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে সূচকে উত্থানের ধারা তৈরি হয় এবং সাড়ে ১২টার দিকে ৪৭ পয়েন্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এর মূল কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সক্রিয় অবস্থানকে উল্লেখ করেছেন।
তবে শেষ সময়ে আইসিবির বাই প্রেসার কমে গেলে এবং কিছু বিনিয়োগকারী লাভ তুলে নিতে শুরু করলে বাজারের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়ে। দিনের শেষে ডিএসইএক্স সূচক ২২.৫১ পয়েন্ট বেড়ে ৫,৮৫৩.৯৫ পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় প্রায় ৪৩১ কোটি টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৮ কোটি টাকা কম। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন নেমে এসেছে আগের দিনের প্রায় অর্ধেকে। বাজারে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই এখনও অপেক্ষামান থাকায় লেনদেনে গতি দেখা যায়নি।
বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলের চলমান আলোচনার প্রভাব। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদের বৈঠক ছিল। বাজার স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির বিষয়ে আলোচনা হবে—এই প্রত্যাশা থেকেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসার কিছু লক্ষণ দেখা যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, বড় পতনের সময় আতঙ্কে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে দেন, আবার বাজার ঘুরে দাঁড়ালে তারা লাভজনক বিক্রির অপেক্ষায় থাকেন। ফলে লেনদেন কমে যেতে পারে, কিন্তু বিক্রির চাপও তুলনামূলকভাবে হ্রাস পায়।
সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবারের বাজার আস্থার সংকট কাটানোর একটি সূচনা হতে পারে। তবে তা টেকসই করতে হলে বাজারসংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ এবং নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা জরুরি। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন।
জামিরুল ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম নেপালের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- সেনাবাহিনী প্রধানের নতুন ঘোষণা, যা বললেন তিন বাহিনী প্রধান
- শুরু বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ: ম্যাচটি লাইভ দেখুন এখানে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- প্রকৌশল খাতের ৫ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি
- টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি: বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ লাইভ দেখার সহজ উপায়
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- ক্রিকেট দুনিয়ায় শোকের কালো ছায়া: মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক
- বিদায়ী সপ্তাহে ৮ কোম্পানির শেয়ার বছরের সর্বনিম্ন দামে
- বিক্রেতা সংকটে হল্ডেট ৩ কোম্পানি
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম নেপাল লড়াই: ম্যাচটি লাইভ দেখার সহজ উপায়
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৬ আগস্ট ২০২৫)
- ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে চমক