লভ্যাংশ: বিনিয়োগকারীদের হাতাশ করলো ১১ কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ অর্থবছরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। কোম্পানিগুলোর বার্ষিক আর্থিক বিবরণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের আয় আগের বছরের তুলনায় কমেছে, কারও কারও ক্ষেত্রে লোকসান হয়েছে। আবার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নেগেটিভ ক্যাশ ফ্লো ও আয় ঘাটতিও রয়েছে। ফলে পরিচালনা পর্ষদ ডিভিডেন্ড ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
নিচে কোম্পানিগুলোর নাম, আয়ের চিত্র, ক্যাশ ফ্লো ও শেয়ারপ্রতি সম্পদ (NAV) সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
ব্যাংক খাতভুক্ত কোম্পানি
প্রিমিয়ার ব্যাংক
ইপিএস (২০২৪): ১.০৯ টাকা (আগে: ৩.৩৭ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: মাইনাস ৪.৫৫ টাকা
এনএভিপিএস: ২১.৭৩ টাকা
এজিএম: ১৪ আগস্ট | রেকর্ড ডেট: ৩ জুলাই
ওয়ান ব্যাংক
ইপিএস: ১.২৪ টাকা
এনএভিপিএস: ২২.৪৩ টাকা
এজিএম: ১৪ আগস্ট | রেকর্ড ডেট: ২৪ জুন
রূপালী ব্যাংক
ইপিএস: ০.২৩ টাকা (আগে: ১.২৮ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: মাইনাস ৮.০৬ টাকা
এনএভিপিএস: ৩৪.৯৭ টাকা
এজিএম: ২৭ আগস্ট | রেকর্ড ডেট: ১৫ জুলাই
এনআরবি ব্যাংক
ইপিএস: ০.১১ টাকা (আগে: ১.৩৫ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: ৬.৫৯ টাকা
এজিএম: ২১ সেপ্টেম্বর | রেকর্ড ডেট: ২১ জুলাই
এনআরবিসি ব্যাংক
ইপিএস: ০.০৮ টাকা (আগে: ২.৪০ টাকা)
এজিএম: ২১ আগস্ট | রেকর্ড ডেট: ২৬ মে
এসবিএসি ব্যাংক
ইপিএস: ০.১৩ টাকা (আগে: ০.৬৬ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: ৮.১১ টাকা
এনএভিপিএস: ১৩.৪৫ টাকা
এজিএম: ১৯ আগস্ট | রেকর্ড ডেট: ২৬ জুন
সাউথইস্ট ব্যাংক
ইপিএস: ০.৩২ টাকা (আগে: ১.৬০ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: ১৩.৩৩ টাকা
এনএভিপিএস: ২৩.৫৯ টাকা
এজিএম: ১৭ সেপ্টেম্বর | রেকর্ড ডেট: ২০ জুন
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক
ইপিএস: ০.৭৪ টাকা (আগে: ১.২৪ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: ৮.৩৫ টাকা
এনএভিপিএস: ১৬.৭৮ টাকা (৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী)
এজিএম: ১৪ আগস্ট | রেকর্ড ডেট: ২৯ জুন
আইএফআইসি ব্যাংক
ইপিএস: লোকসান ০.৬৩ টাকা (আগে: আয় ১.৫৬ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: ৩.৪৮ টাকা
এনএভিপিএস: ১৮.১৬ টাকা
এজিএম: ১১ সেপ্টেম্বর | রেকর্ড ডেট: ১৭ জুলাই
আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট
ইপিএস: লোকসান ৪৮.৭৩ টাকা (আগে: লোকসান ৪২.৫২ টাকা)
ক্যাশ ফ্লো: ০.২৮ টাকা
এনএভিপিএস: ৮২.০১ টাকা
এজিএম: ১১ আগস্ট | রেকর্ড ডেট: ২৬ জুন
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স
ইপিএস: লোকসান ৩৯.০১ টাকা
এনএভিপিএস: ২১২.৩২ টাকা
এজিএম: ৩০ জুন | রেকর্ড ডেট: ১৯ জুন
ডিভিডেন্ড না দেওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে কম ইপিএস, নেগেটিভ ক্যাশ ফ্লো এবং লোকসানজনিত পরিস্থিতি স্পষ্ট। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনা পর্ষদ মুনাফা বণ্টনের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত রয়েছে।
এই ১১টি কোম্পানির মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ত হলেও আয়জনিত সীমাবদ্ধতা এবং ব্যয়ের চাপের কারণে ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। দীর্ঘমেয়াদে এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক পুনর্গঠন ও পরিচালন দক্ষতার উপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা নির্ভর করবে।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ঈদের আগে সোনার বাজারে স্বস্তি, আসলো নতুন সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশে আজকের সোনা বাজার মূল্য: ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ঢাকায় ল্যান্ডের সময় ৬ বারেও ব্যর্থ পাইলট, তারপর যা ঘটলো
- ১ লাখ ৯০ হাজারের গরু ৭০ হাজারে
- পুঁজিবাজারে বড় সাত সিদ্ধান্ত: ডেরিভেটিভ লেনদেনের যুগে প্রবেশ, কমল বিও হিসাব ফি
- ঈদের আগে শিক্ষকদের মুখে হাসি, সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়
- সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সোনার দোকান
- বাংলাদেশ-পাকিস্তান: শেষদিকে হঠাৎ বিপর্যয়, বদলে গেল ম্যাচ
- ডিএসই-ডিবিএ বৈঠকে পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে যুগান্তকারী প্রস্তাবনা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪টি কোম্পানি লাইসেন্স বাতিলেরউদ্যোগ
- পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় জয়
- প্রয়াত হলেন সাবেক এমপি আনোয়ারুল, কুমিল্লা বিএনপিতে শোক
- ১৩ উইকেট তুলে রিশাদের ঝুলিতে ৬৫ লাখ টাকা!
- চিরবিদায় নিলেন সাংকো পাঞ্জা
- ঈদুল আজহা ও আরাফাহ দিবস তারিখ ঘোষণা করলো সৌদি আরব