নবীজি (সা.) কোরবানির পশুর এই ৬টি অঙ্গ খেতেন না, জানেন কেন?
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানি ঈদের সময় মুসলিম ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ। হালাল পশু জবাই, ভাগাভাগি করে মাংস খাওয়া—সবই ইসলামের শিক্ষা। কিন্তু আপনি কি জানেন, কোরবানির পশুর কিছু অঙ্গ আছে যেগুলো নবী করিম (সা.) খেতেন না? এমনকি এসব অঙ্গ খাওয়া থেকে তিনি সাহাবিদেরও বিরত রাখতেন।
ইসলাম কেবল হালাল-হারামের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং পছন্দ-অপছন্দ, পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। নবীজি (সা.) তাঁর জীবনে এমন কিছু দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, যেগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার উৎস।
যে ৬টি অঙ্গ থেকে নবীজি (সা.) বিরত থাকতেন:
বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মুজাহিদ (রহ.)-এর বর্ণনা অনুযায়ী, নবী করিম (সা.) হালাল পশুর কিছু অঙ্গ খাওয়া অপছন্দ করতেন। সেগুলো হলো:
পুরুষ পশুর প্রজনন অঙ্গ
অণ্ডকোষ
মাদি পশুর প্রজনন অঙ্গ
মাংস গ্রন্থি (যা টিউমারের মতো)
মূত্রথলি
পিত্ত থলি
এই অঙ্গগুলো খাওয়ার ব্যাপারে ইসলামিক স্কলারগণ বলেন, যদিও এগুলো পশুর শরীরের অংশ, তথাপি রাসুল (সা.) নিজে তা গ্রহণ করেননি। তাই এগুলো খাওয়ার ব্যাপারে বিরত থাকা উত্তম।
কেন নবীজি (সা.) এগুলো খেতেন না?
এর পেছনে রয়েছে ইসলামিক সৌন্দর্যবোধ ও স্বাস্থ্যগত বিবেচনা। এই অঙ্গগুলোর অনেকটাই শরীরের বর্জ্য সংরক্ষণের স্থান, সংবেদনশীল অঙ্গ বা অপবিত্রতা বহনকারী বলে বিবেচিত। অনেক সময় এগুলোতে রোগ-জীবাণু বহনের সম্ভাবনাও বেশি থাকে।
কোরআনের দিকনির্দেশনাও মিলছে
আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে বলেন:
“তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শুকরের মাংস…”— (সুরা আল-বাকারা: ১৭৩)
অর্থাৎ, প্রবাহিত রক্তসহ কিছু জিনিস পরিষ্কারভাবে হারাম করা হয়েছে। আর কিছু জিনিস নবীজি (সা.) নিজ অভ্যাসের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যবান জীবনের দিকেই আহ্বান জানিয়েছেন।
সব হালাল খেলেই চলবে না
ইসলামে হালাল মানেই সব কিছু খেতে হবে—এমন কোনো কথা নেই। বরং রাসুলুল্লাহ (সা.) যেসব অঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থেকেছেন, মুসলমান হিসেবে তা আমরাও এড়িয়ে চললে তাঁর সুন্নাহর অনুসরণেই থাকব।
কোরবানির সময় শুধু হালাল পশু জবাই করলেই যথেষ্ট নয়—জরুরি হলো তার প্রতিটি কাজ ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী করা। নবীজির (সা.) জীবন থেকে এই শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, তিনি যা পরিহার করেছেন, সেটি পরিহার করাই মুমিনের জন্য অধিক উত্তম।
FAQs ও উত্তর:
প্রশ্ন ১: নবীজি (সা.) কোরবানির কোন অঙ্গগুলো খেতেন না?
উত্তর: পুরুষ পশুর প্রজনন অঙ্গ, অণ্ডকোষ, মাদি পশুর প্রজনন অঙ্গ, মাংস গ্রন্থি, মূত্রথলি ও পিত্ত—এই ৬টি অঙ্গ খাওয়া তিনি অপছন্দ করতেন।
প্রশ্ন ২: এসব অঙ্গ খাওয়া কি হারাম?
উত্তর: এগুলোর ব্যাপারে স্পষ্ট হারামের ফতোয়া নেই, তবে রাসুল (সা.) নিজে না খাওয়ার কারণে স্কলারগণ এগুলো বর্জন করাকে উত্তম বলে মত দিয়েছেন।
প্রশ্ন ৩: কেন নবীজি (সা.) এসব অঙ্গ খেতেন না?
উত্তর: স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি, পবিত্রতার বিধান এবং সৌন্দর্যবোধের কারণেই তিনি এসব অঙ্গ এড়িয়ে চলতেন।
প্রশ্ন ৪: মুসলমানদের কি এসব অঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত?
উত্তর: রাসুল (সা.) যা পরিহার করেছেন, তা পরিহার করাই উত্তম। তাই মুসলমানদের এসব অঙ্গ থেকে বিরত থাকাই সুন্নাহ অনুযায়ী শ্রেয়।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আবারও এক লাফে কমলো সোনার দাম
- রেকর্ড নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো ওয়ালটন
- ব্যাপক হারে কমলো সোনার দাম, স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: ডিএলএস পদ্ধতিতে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে দুই ব্রোকারেজ হাউসের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল করল ডিএসই
- ১৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম আজকের বাজার ২০২৫
- ১৮ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- মুনাফায় রেকর্ড: লভ্যাংশ ঘোষণা করলো বাটা শু
- আজ আবারো কমলো সোনার দাম, ভরিতে ১০,৪৭৪ টাকা কমালো বাজুস
- ইজেনারেশনের লভ্যাংশ ঘোষণা
- নবম পে স্কেল: কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি!
- নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো এসিআই ফর্মুলেশনস
- 'জেড' ক্যাটাগরিরতে স্থানান্তার দুই কোম্পানির শেয়ার
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: বোলিংয়ে বাংলাদেশ, সরাসরি দেখুন (Live)