ঢাকা, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

পাত্রী দেখার সীমা ও আংটি পরানোর ইসলামিক বিধান

২০২৫ জুলাই ০৬ ১৬:৩০:৩৩
পাত্রী দেখার সীমা ও আংটি পরানোর ইসলামিক বিধান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন, যেখানে দুই মানুষের সম্মান, নৈতিকতা এবং শরীয়তের বিধান রক্ষা করা জরুরি। বিশেষ করে বিয়ের আগের পাত্রী দেখা এবং আংটি পরানোর বিষয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিতে থাকেন। ইসলাম এই বিষয়গুলোকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রেখেছে, যাতে সম্পর্কের সৌন্দর্য ও মর্যাদা বজায় থাকে।

পাত্রী দেখার সীমা কী?

হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিয়ের আগে পাত্রীকে দেখে নেওয়ার সুন্নত প্রচলন করেছিলেন। এক হাদিসে তিনি বলেছেন, “যখন কেউ কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে, সে যেন এমন কিছু দেখে নেয় যা তাকে বিয়েতে আগ্রহী করে।” (সুনানে আবু দাউদ: ২০৮২)

তবে এই ‘দেখার’ সীমা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পাত্রীর কেবল মুখ, দুই হাত কব্জি পর্যন্ত এবং দুই পা টাখনু পর্যন্ত দেখা জায়েজ। এর বাইরে হাতের কনুই বা হাঁটু পর্যন্ত দেখা এবং স্পর্শ করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এতে শরীরের গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষা পায়।

আংটি পরানোর ইসলামিক বিধান

পাত্রীকে নিজ হাতে আংটি পরানো শরীয়ত সম্মত নয়। আংটি পরানো মানে হাত স্পর্শ করা, যা বিয়ের আগে উভয় পক্ষের মধ্যে হারাম। তবে আংটি পরানোর প্রয়োজন হলে এটি হতে পারে পাত্রীর পরিবারের অন্য মহিলা কিংবা মাহরাম পুরুষের মাধ্যমে।

ইসলাম কেন এই সীমা নির্ধারণ করেছে?

ইসলামের উদ্দেশ্য হলো সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে শান্তি ও সম্মান বজায় রাখা। বিয়ের আগে অতিরিক্ত শারীরিক যোগাযোগ সম্পর্কের মর্যাদা হ্রাস করে এবং সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সীমাবদ্ধতা আর মর্যাদার মধ্যে থেকেই বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়াই শ্রেয়।

বিয়ের আগের পাত্রী দেখা ও আংটি পরানো ইসলামে সুস্পষ্ট বিধান অনুযায়ী সীমাবদ্ধ। মুসলমানদের উচিত এই সীমা মেনে চলা এবং শরীয়ত সম্মত পথে নিজেদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। এতে ভালোবাসা ও সম্মানের ভিত্তিতে এক সুখী দাম্পত্য জীবন প্রতিষ্ঠিত হবে।

আব্দুর রহিম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ