ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আজ ডিএসইতে বড় দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার (০৪ জুন ২০২৫)

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ০৪ ১৪:৫৫:০৪
আজ ডিএসইতে বড় দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার (০৪ জুন ২০২৫)

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বুধবার, ৪ জুন ২০২৫ তারিখে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এ লেনদেন হয়েছে বেশ অস্থির পরিবেশে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দিনটিতে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদরে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও কিছু শেয়ারদরে বড় ধরনের পতন হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এই দরপতনের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি।

শীর্ষে কেন নর্দান জুট?

বুধবারের লেনদেন শেষে নর্দান জুটের শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় কমেছে ৭ টাকা ৫০ পয়সা, যা শতাংশের হিসেবে ৭.৬৯ শতাংশ দরপতন। এই উল্লেখযোগ্য দরপতনের কারণে কোম্পানিটি আজকের শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যেসব কোম্পানি

দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগ্রস্ত পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১০ পয়সা, অর্থাৎ ৫.২৬ শতাংশ।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড, যার শেয়ারদর কমেছে ৩০ পয়সা বা ৩.১৬ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে স্বল্পমূল্যের এই শেয়ারটি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলেও সাম্প্রতিক বাজার ধসের কারণে দরপতনের শিকার হয়েছে।

এছাড়া, আজকের দরপতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে আরও যেসব কোম্পানি রয়েছে:

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক – দরপতন ৩.১৩%

ফিনিক্স ইন্সুরেন্স – দরপতন ২.৯২%

সোনার বাংলা ইন্সুরেন্স – দরপতন ২.৮৭%

পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড – দরপতন ২.৮৬%

গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড – দরপতন ২.৫৬%

বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট – দরপতন ২.৩৮%

ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড – দরপতন ২.২৭%

বাজার বিশ্লেষকদের মতামত

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, মুদ্রানীতির কড়াকড়ি, এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তারল্য সংকট এবং রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট কমে যাওয়ার ফলে বাজারে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তারা মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ও অস্থিরতা দূর করতে হলে সুনির্দিষ্ট নীতিগত সহায়তা ও বাজার স্থিতিশীলতা আনার উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনাও জরুরি।

৪ জুনের দরপতনের চিত্র স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে বিনিয়োগকারীরা এখনো বাজারের প্রতি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাননি। যদিও কিছু কোম্পানি বাজারে স্থিতিশীলতা রাখার চেষ্টা করছে, তবে সামগ্রিকভাবে বাজার চিত্র এখনও দুর্বল। বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থারও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ