ঢাকা, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

সকালে ভেজানো কিসমিস খাওয়ার ৭ চমকপ্রদ স্বাস্থ্যগুণ

লাইফ স্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ১৪ ১৫:৪৮:০৭
সকালে ভেজানো কিসমিস খাওয়ার ৭ চমকপ্রদ স্বাস্থ্যগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে আমরা অনেক সময় ছোট ছোট স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ভুলে যাই। অথচ, ছোট একটি অভ্যাস যেমন সকালে ভেজানো কিসমিস খাওয়া, তা আমাদের শরীরের জন্য হতে পারে অমূল্য উপহার। ভেজানো কিসমিসে লুকিয়ে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খাওয়ার ৭টি চমকপ্রদ স্বাস্থ্যগুণ—

১. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে

ভেজানো কিসমিসে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। সকালে খালি পেটে এটি খেলে পেট পরিষ্কার থাকে ও হজম ভালো হয়।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যার ফলে ভাইরাস, ঠান্ডা-জ্বরের মতো অসুখের ঝুঁকি কমে।

৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

ভেজানো কিসমিস প্রাকৃতিক পটাসিয়ামের ভালো উৎস, যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী।

৪. রক্তশূন্যতা দূর করে

কিসমিসে প্রচুর আয়রন থাকে, যা রক্তের পরিমাণ বাড়ায় এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকর। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।

৫. ত্বক উজ্জ্বল করে

ভেজানো কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে, ফলে ত্বক মসৃণ ও ঝলমলে হয়।

৬. হাড় মজবুত করে

ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের কারণে ভেজানো কিসমিস হাড়কে শক্তিশালী করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।

৭. কোলেস্টেরল কমায়

কিসমিস খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ভেজানো কিসমিস কীভাবে খাবেন?

প্রতিদিন রাতে ২০-২৫টি কিসমিস এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে সেই ভেজানো কিসমিস ও পানি একসাথে খান। নিয়মিত অভ্যাস করলে এক মাসের মধ্যেই শরীরে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।

ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিসমিস খাওয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করবেন, কারণ এতে থাকে প্রাকৃতিক শর্করা।

সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপনের জন্য ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। সকালে ভেজানো কিসমিস খাওয়ার এই সহজ অভ্যাসটি আপনার শরীরকে দেবে এক নতুন শক্তি ও সুস্থতার অনুভূতি।

FAQ (প্রশ্নোত্তর)

১. ভেজানো কিসমিস খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি কী?

রাতের বেলায় ২০-২৫টি কিসমিস এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই ভেজানো কিসমিস ও পানি একসাথে খাওয়া উচিত। এতে পুষ্টি ভালোভাবে শোষিত হয়।

২. কিসমিস কতটা স্বাস্থ্যকর?

কিসমিসে প্রাকৃতিক ফাইবার, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা হজম, রক্তশূন্যতা, ত্বক ও হৃদরোগসহ অনেক সমস্যার প্রতিকার করে।

৩. ডায়াবেটিস রোগীরা কিসমিস খেতে পারবেন কি?

ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিসমিস খাওয়ার পরিমাণ ঠিক করতে হবে, কারণ কিসমিসে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা রক্তের সুগার বাড়াতে পারে।

৪. সকালে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কী কী?

সকালে ভেজানো কিসমিস খেলে হজম ভালো হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ত্বক উজ্জ্বল হয়, হাড় মজবুত হয় এবং কোলেস্টেরল কমে।

৫. কিসমিস কি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে?

হ্যাঁ, কিসমিসে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপে ভোগাদের জন্য এটি উপকারী।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

তিন কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

তিন কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানি সম্প্রতি ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র গ্রামীণফোন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ১১০ শতাংশ... বিস্তারিত