বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৩০ ব্যাংকের শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের ছুটির পর দেশের পুঁজিবাজারে সূচক এবং লেনদেনের দিক থেকে স্থিতিশীল এবং ইতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে। গত সাত কার্যদিবসের মধ্যে ছয় দিন সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২৩ জুন ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪,৬৯৫ পয়েন্টে। আজ ৩ জুলাই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৮৯৪ পয়েন্টে। এই সময়ে সূচক বেড়েছে ১৯৯ পয়েন্ট, যা গত কয়েক মাসের তুলনায় একটি শক্তিশালী অগ্রগতি।
এ প্রবৃদ্ধিতে ব্যাংক খাতের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩০টি ব্যাংকের শেয়ারের দর বেড়েছে। মাত্র তিনটি ব্যাংকের দর হ্রাস পেয়েছে এবং তিনটি ব্যাংকের দর অপরিবর্তিত ছিল। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা ব্যাংক খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধির একটি পরিমাপযোগ্য প্রমাণ।
শীর্ষ পারফরমিং ব্যাংকসমূহ
সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি হয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ-এর শেয়ারে। গত সাত কার্যদিবসে ব্যাংকটির শেয়ার দর ১০ টাকা ৫০ পয়সা বা ৩১.২৫% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১০ পয়সায়। এ সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন দর ছিল ২৩ টাকা ১০ পয়সা।
রূপালী ব্যাংকের শেয়ারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি হয়েছে। গত সাত দিনে ব্যাংকটির শেয়ার দর ৩ টাকা ৫০ পয়সা বা ২০% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা। সর্বনিম্ন দর ছিল ১৬ টাকা ৯০ পয়সা।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। ব্যাংকটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৫.৩২%, যা দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ১০ পয়সায়। সর্বনিম্ন দর ছিল ২৩ টাকা ৫০ পয়সা।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮০ পয়সা বা ১০.৯৬% এবং দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ১০ পয়সায়। সর্বনিম্ন দর ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা।
৫% এর বেশি দরবৃদ্ধি: আরও ৭ ব্যাংক
৫ শতাংশের বেশি দরবৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে:
ওয়ান ব্যাংক
প্রাইম ব্যাংক
এনআরবিসি ব্যাংক
এনআরবি ব্যাংক
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
ব্র্যাক ব্যাংক
আইএফআইসি ব্যাংক
বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে, ব্যাংক খাতে এ ধরণের ধারাবাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধি তাদের আস্থার প্রতিফলন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংক খাতে তারল্য পরিস্থিতির উন্নয়ন, নীতিনির্ধারকদের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপ এবং বাজারের নিম্নমুখী চক্রের পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি প্রত্যাশিত পরিবর্তন।
বর্তমান প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ব্যাংক খাতই এখন বাজারে আস্থার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। বাজারের সামগ্রিক চিত্র এবং বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ফলে পুঁজিবাজারে একটি স্থিতিশীল ও টেকসই পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি