উত্থানশীল বাজারেও লোকসানে ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত এক মাসে দেশের শেয়ারবাজারে সূচক উর্ধ্বমুখী থাকলেও সব কোম্পানির পারফরম্যান্স সমান ছিল না। বাজারের সার্বিক গতি ইতিবাচক থাকলেও কিছু কোম্পানির শেয়ারে দরপতনের কারণে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, ৩ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত প্রধান সূচক ৪ হাজার ৬৬৫ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৪ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে। এক মাসে এই ২২৯ পয়েন্ট বা প্রায় ৪.৯ শতাংশ বৃদ্ধিকে বাজারের স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধির ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ সময় ১৭টি কোম্পানির শেয়ারে ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা হয়েছে।
তবে একই সময়ে ৮টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদর ৫ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে, যা বিপরীতমুখী চিত্র উপস্থাপন করে।
দরপতন সবচেয়ে বেশি ফারইস্ট ফাইন্যান্সে
এক মাসে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট-এর শেয়ারে। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮০ পয়সা বা ১৮.১৮ শতাংশ কমে বর্তমানে ৩ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। এই সময়ে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ৪ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৩ টাকা ৪০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পতন প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে
প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর শেয়ার দর ৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ১২.৮০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৭০ পয়সায়। এই সময়ে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ৫২ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৪৩ টাকা ১০ পয়সা।
বার্জার পেইন্টস: রাইট শেয়ার অ্যাডজাস্টমেন্টের প্রভাব
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ-এর শেয়ার দর এক মাসে ১৯১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১১.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ টাকা ৬০ পয়সায়। রাইট শেয়ার ইস্যুর কারণে দরটি অ্যাডজাস্ট হয়েছে। নতুন রাইট শেয়ারে যারা অংশ নিয়েছেন তারা এখনো লাভে থাকলেও পুরাতন বিনিয়োগকারীদের অনেকে এখনো ন্যূনতম দামে অবস্থান করছেন।
অন্যান্য কোম্পানির দরপতনের চিত্র
একই সময়ে যেসব কোম্পানির শেয়ারদর উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে:
শ্যামপুর সুগার মিলস: ১৩.৬০ টাকা বা ১০.০৭% কমে
ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট: ৩০ পয়সা বা ৯.৩৮% কমে
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস: ৩০ পয়সা বা ৯.৩৮% কমে
ন্যাশনাল ব্যাংক: ৩০ পয়সা বা ৮.১১% কমে
ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ২০ পয়সা বা ৫.৪১% কমে
বিশ্লেষণ ও সুপারিশ
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সামগ্রিক বাজার চিত্র ইতিবাচক হলেও কিছু কোম্পানির মৌলভিত্তি দুর্বলতা, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সমস্যা কিংবা কর্পোরেট কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বিনিয়োগকারীদের লোকসান হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব কোম্পানি দীর্ঘ সময় ধরে আর্থিক সংকটে রয়েছে, সেগুলোর শেয়ারদরে স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না।
বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে—কোনো কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে সেই কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালনা পর্ষদের গতিশীলতা ও বাজার মূল্যায়ন বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। বাজারে স্বল্পমেয়াদি প্রবণতার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি মৌলিক শক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
শেয়ারবাজারে ইতিবাচক ধারা স্পষ্ট হলেও, কিছু কোম্পানির শেয়ারদরে পতন বাজারের বৈচিত্র্য ও ঝুঁকি তুলে ধরে। বিনিয়োগকারীদের আরও সচেতন ও বিশ্লেষণভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- জামায়াত, বিএনপি, এনসিপি অনড়, সত্যি হতে চলেছে সেনা প্রধানের ভবিষ্যদ্বাণী
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বিক্রেতা সংকট: সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পেয়ে হল্টেড ৮ কোম্পানি
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- চমক দেখালো ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৮ কোম্পানির শেয়ার
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৮ আগস্ট ২০২৫)
- বিক্রেতা সংকটে হল্ডেট ৩ কোম্পানি
- ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে চমক
- উপদেষ্টা আসিফের বাবা বিল্লাল মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হোক, সবকিছু বেরিয়ে যাবে
- ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনে যুগান্তকারী পরিবর্তন, বয়সেও আসছে ছাড়
- আজ বাংলাদেশে ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য
- সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ: বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন কোথায় ও লাইভ দেখার উপায়
- দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মানতে হবে যেসব শর্ত