ঢাকা, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

মেসি ও আলবারার নিষেধাজ্ঞায় ইন্টার মায়ামির মালিকের ক্ষোভ প্রকাশ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ২৬ ০৯:৪০:৪৬
মেসি ও আলবারার নিষেধাজ্ঞায় ইন্টার মায়ামির মালিকের ক্ষোভ প্রকাশ

অলস্টার ম্যাচে না খেলায় এমএলএসের শাস্তির মুখে মেসি-আলবা, মালিক বললেন ‘অন্যায় সিদ্ধান্ত’

নিজস্ব প্রতিবেদক:মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়ম ভেঙে অলস্টার ম্যাচে না খেলায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন ইন্টার মায়ামির দুই তারকা লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবা। বিষয়টি নিয়ে ক্লাবের মালিক জর্জ মাস প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, এই সিদ্ধান্ত অমানবিক এবং ক্লাব ও খেলোয়াড়—দু’পক্ষেরই প্রতি অবিচার।

গত বৃহস্পতিবার এমএলএস ও মেক্সিকোর লিগা এমএক্সের অলস্টার দলগুলোর মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক দলে থাকা সত্ত্বেও মেসি ও আলবা ইনজুরি ছাড়াই নাম প্রত্যাহার করেন। এমএলএসের নীতিমালা অনুযায়ী, অলস্টার ম্যাচে না খেললে পরবর্তী লিগ ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে পারবে না সেই খেলোয়াড়। ফলে ইন্টার মায়ামির ঘরের মাঠে এফসি সিনসিনাতির বিপক্ষে ম্যাচে তারা খেলতে পারবেন না।

ক্লাবের অবস্থান: ক্লান্তি কাটাতেই বিশ্রাম

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পর টানা সাত ম্যাচ খেলেছেন মেসি ও আলবা। শারীরিক চাপ ও ক্লান্তি বিবেচনায় এনে মায়ামি ক্লাব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, এই দুজনকে অলস্টার ম্যাচ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। ক্লাবের মালিক জর্জ মাস জানান, “মেসি ও আলবা ক্লাবের নির্দেশনা মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা ইনজুরিতে ছিল না, কিন্তু ক্লান্ত ছিল। তাদের নিষিদ্ধ করাটা সম্পূর্ণ অন্যায়।”

মালিকের প্রতিক্রিয়া: ‘মেসি হতাশ, আমরাও তাই’

নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে "কঠোর ও অবিবেচনাপ্রসূত" বলে আখ্যা দিয়েছেন মালিক জর্জ মাস। তিনি বলেন,

“তারা (মেসি-আলবা) এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত বুঝতে পারছে না। মেসি হতাশ, আমরাও তাই। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের একসাথে থেকে লিগের কঠোর নিয়মের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া উচিত।”

এমএলএসের অবস্থান: ‘নিয়ম দীর্ঘদিনের, সবাইকে মানতেই হবে’

এদিকে এমএলএস কমিশনার ডন গারবার বলেন,

“আমি জানি মেসি এই লিগের জন্য কতটা দিয়েছেন। তবে আমাদের অলস্টার ম্যাচের নিয়ম বহুদিনের। কঠিন হলেও এই নিয়ম কার্যকর করতেই হয়েছে।”

সময়সূচি নিয়েও প্রশ্ন

জর্জ মাস আরও প্রশ্ন তুলেছেন অলস্টার ম্যাচের সময়সূচি নিয়েও। তিনি বলেন,

“৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ছয়টি লিগ ম্যাচ রাখা হয়েছে। এটি খেলোয়াড়দের জন্য অন্যায় ও শারীরিকভাবে ক্ষতিকর।”

জামিরুল ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ