ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

বিনিয়োগকারীদের বড় দু:সংবাদ দিল ছয় কোম্পানি

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১১:৪৮:৫৫
বিনিয়োগকারীদের বড় দু:সংবাদ দিল ছয় কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠান—একটি কোম্পানি ও পাঁচটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড—২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডার ও ইউনিটহোল্ডারদের কোনো ডিভিডেন্ড না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাসঙ্গিক আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই ওই সময়ে লোকসান করেছে অথবা মুনাফা হলেও তা ডিভিডেন্ড প্রদানের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হয়নি।

ন্যাশনাল টি কোম্পানি

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১০৭ টাকা ৪৯ পয়সা। বছরের শেষে শেয়ারপ্রতি নিট দায়মূল্য (NAVPS) দাঁড়ায় ১৫৫ টাকা ৬৯ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি এই আর্থিক পরিস্থিতিতে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি।

প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট ফান্ড

ফান্ডটির ২০২৪ সালের পারফরম্যান্স অনুযায়ী ইউনিটপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৪৫ পয়সা। বাজারদরে ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্য (NAVPU) ছিল ৯ টাকা ১৩ পয়সা (৩১ ডিসেম্বর ২০২৪)। ট্রাস্টি বোর্ড ডিভিডেন্ড না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ইউনিটপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে NAVPS দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮ পয়সা। এই সিদ্ধান্তসহ অন্যান্য বিষয় বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হবে, যার রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ আগস্ট ২০২৫।

আইসিবি সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ পয়সা, এবং NAVPS দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ২৩ পয়সা। এজিএমে ‘নো ডিভিডেন্ড’ সিদ্ধান্ত উপস্থাপিত হবে এবং রেকর্ড ডেট একইভাবে ২৭ আগস্ট।

আইসিবি ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এই ফান্ডের ইউনিটপ্রতি মুনাফা ছিল ৩৬ পয়সা, তবে তা সত্ত্বেও কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়নি। NAVPS ছিল ৯ টাকা। এজিএমে আলোচনার জন্য এই সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত করা হবে। রেকর্ড ডেট: ২৭ আগস্ট।

আইসিবি ইমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান

ইউনিটপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৩ পয়সা এবং NAVPS দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৩৮ পয়সা (৩০ জুন ২০২৫)। ‘নো ডিভিডেন্ড’ সিদ্ধান্তসহ অন্যান্য বিষয় এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। রেকর্ড ডেট: ২৭ আগস্ট।

সার্বিক বিশ্লেষণ

এছয়টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে অধিকাংশেরই শেয়ারপ্রতি লোকসান ও তুলনামূলক কম নিট দায়মূল্য (NAV) লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রমে আয় হ্রাস, অপারেটিং খরচ বৃদ্ধি বা বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত রিটার্ন না পাওয়া—এসব কারণেই ডিভিডেন্ড প্রদানে অপারগতা দেখা গেছে।

এই সিদ্ধান্তগুলোর প্রভাবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষত যেসব বিনিয়োগকারী নিয়মিত ডিভিডেন্ড প্রত্যাশা করে থাকেন। বিশ্লেষকদের মতে, কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর জন্য সময়মতো কাঠামোগত পরিবর্তন, খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালন দক্ষতা উন্নয়ন এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ