ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

বিকাশ, নগদ, রকেটে লেনদেন: হাজারে কাটবে মাত্র দেড় টাকা! কীভাবে সম্ভব জানুন

অর্থনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৩:০৫:১২
বিকাশ, নগদ, রকেটে লেনদেন: হাজারে কাটবে মাত্র দেড় টাকা! কীভাবে সম্ভব জানুন

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। এখন থেকে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ দেশের সব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ওয়ালেটে যেকোনো ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করা যাবে মাত্র ১ টাকা ৫০ পয়সা খরচে। ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চালু হওয়া এই যুগান্তকারী সুবিধা আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ (পিএসডি) গতকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

কেন এই পরিবর্তন?

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দেশে নগদ অর্থের ব্যবহার কমিয়ে আনা এবং ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করাই এই নতুন সেবার মূল লক্ষ্য। এই "ইন্টার-অপারেবল" বা পারস্পরিক সংযুক্ত সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যাংক ও এমএফএস সেবার মধ্যে সমন্বয় তৈরি হবে, যা গ্রাহকদের জন্য লেনদেন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করবে।

নতুন সুবিধার বিস্তারিত:

এতদিন এনপিএসবি প্ল্যাটফর্ম শুধুমাত্র ব্যাংক থেকে ব্যাংকে লেনদেনের সুযোগ দিত। এখন এর পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে। ফলে ব্যাংক থেকে এমএফএস এবং ব্যাংক থেকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি)-এর মধ্যেও লেনদেন করা সম্ভব হবে।

লেনদেনের খরচ:

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ইন্টার-অপারেবল লেনদেনে প্রেরক ব্যাংক, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার বা এমএফএস প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকের কাছ থেকে নিম্নলিখিত চার্জ আদায় করবে:

ব্যাংক থেকে এমএফএসে টাকা পাঠাতে: প্রতি হাজারে ১ টাকা ৫০ পয়সা।

এমএফএস থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে: প্রতি হাজারে ৮ টাকা ৫০ পয়সা।

ব্যাংক থেকে ব্যাংকে লেনদেনে: প্রতি হাজারে ১ টাকা ৫০ পয়সা।

ব্যাংক থেকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারে লেনদেনে: প্রতি হাজারে ২ টাকা।

তবে, প্রাপক গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো ফি বা চার্জ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।

অন্যান্য নিয়মাবলী:

ব্যাংক, এমএফএস এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডাররা তাদের নিজস্ব লেনদেন সীমার মধ্যেই এই সেবা প্রদান করবে।

এনপিএসবি প্ল্যাটফর্মে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংক টু ব্যাংক অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আগের নিয়মই বহাল থাকবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এক বড় পদক্ষেপ:

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন ব্যবস্থা দেশের আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। এটি একদিকে যেমন গ্রাহকদের জন্য খরচ কমাবে এবং সুবিধা বাড়াবে, তেমনি অন্যদিকে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে। সরকারের ক্যাশলেস সমাজের লক্ষ্য অর্জনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তানভির ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ