ঢাকা, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

মধ্যবিত্তের জন্য স্বস্তি: এক লক্ষের নিচে নেমে আসতে পারে সোনা!

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১১:৩৪:০৯
মধ্যবিত্তের জন্য স্বস্তি: এক লক্ষের নিচে নেমে আসতে পারে সোনা!

স্বর্ণের মূল্যের নিয়ন্ত্রণ: ভারত সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে এক লক্ষের নিচে নেমে আসতে পারে সোনা

বিগত কয়েক বছর ধরে সোনার মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিশেষত, এক বছরের ব্যবধানেই মূল্যবান এই ধাতুর দাম বেড়েছে অর্ধশতাধিক। সাম্প্রতিক ধনতেরাসের পরে সোনার দামে সামান্য পতন ঘটলেও, বড় ধরনের পতনের অপেক্ষায় ছিলেন ক্রেতারা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার মূল্যবান স্বর্ণের দাম কমানোর লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন: মুহূর্তের ব্যবধানে ফের বাড়ল সোনার মূল্য, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি কত

অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাজারে সোনার মূল্যকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্র সরকার সোনা ও রুপোর ভিত্তি আমদানি মূল্য (Base Import Price) হ্রাস করেছে। এই নতুন শুল্ক নির্ধারণের ফলে স্বর্ণের দর বেশ কিছুটা নিম্নগামী হবে বলেই আশা করা হচ্ছে, যা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে এসে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কমাতে পারে।

সোনা-রুপোর নতুন আমদানি মূল্য

কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নতুন ভিত্তি আমদানি মূল্য (BIP) ধার্য করা হয়েছে—

স্বর্ণ: প্রতি ১০ গ্রাম সোনার জন্য এই মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪২ ডলার।

রুপো: প্রতি কেজি রুপোর জন্য মূল্য ধার্য হয়েছে ১০৭ ডলার।

এই ভিত্তি মূল্য হ্রাসের ফলে আমদানি করা স্বর্ণের উপর শুল্কের বোঝা কমবে, যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে দেশের স্বর্ণ শিল্পে। ফলে, সোনার দর কমলে গয়না তৈরির খরচও সস্তা হবে।

ভিত্তি আমদানি মূল্য কী?

ভিত্তি আমদানি মূল্য বলতে বোঝায়, কোনো আমদানি করা পণ্যের উপর আমদানি কর বা কাস্টম শুল্ক (Customs Duty) গণনার জন্য ব্যবহৃত ন্যূনতম মূল্য। এই মূল্য পাক্ষিক ভিত্তিতে (অর্থাৎ প্রতি ১৫ দিন অন্তর) পর্যালোচনা ও আপডেট করা হয়। মূল্য কমানোর অর্থ হলো আমদানিকারকদের জন্য করের বোঝা হ্রাস, যা শেষ পর্যন্ত বাজারে দাম কমাতে সহায়ক হয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের অবস্থান

বিশ্ব দরবারে ভারত স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ, যার আগে রয়েছে শুধু চীন। অন্যদিকে, রুপো আমদানিতে ভারত বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে।

আমদানি সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সবথেকে বেশি সোনা আমদানি করে সুইৎজ়ারল্যান্ড থেকে— যা মোট আমদানির ৪০ শতাংশ। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে আসে ১৬ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয় ১০ শতাংশ স্বর্ণ। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত মোট ৪৮টি দেশ থেকে সোনা আমদানি করেছিল এবং তার পরের অর্থবর্ষ, ২০২৪-২৫-এ আমদানির পরিমাণ ২৭.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

১. কেন সোনার দাম কমতে পারে?

কেন্দ্র সরকার সোনা ও রুপোর বেস ইমপোর্ট প্রাইজ বা ভিত্তি আমদানি মূল্য কমিয়েছে। ফলে সোনা আমদানিতে শুল্কের বোঝা কমবে, যা বাজারে দাম কমাতে সাহায্য করবে।

২. নতুন বেস ইমপোর্ট প্রাইজ কত ধার্য হলো?

নতুন মূল্য অনুযায়ী, প্রতি ১০ গ্রাম সোনার জন্য ৪২ ডলার এবং প্রতি কেজি রুপোর জন্য ১০৭ ডলার ধার্য করা হয়েছে।

৩. ভিত্তি আমদানি মূল্য (Base Import Price) কী?

এটি হলো আমদানি করা পণ্যের ওপর কাস্টম শুল্ক (Customs Duty) হিসাব করার ভিত্তি মূল্য, যা প্রতি ১৫ দিন অন্তর পর্যালোচনা ও আপডেট করা হয়।

৪. বিশ্ববাজারে সোনা আমদানিতে ভারতের অবস্থান কোথায়?

ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনা আমদানিকারক দেশ। রুপো আমদানির ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষে রয়েছে।

৫. ভারত কোন দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সোনা আমদানি করে?

রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সুইৎজ়ারল্যান্ড থেকে সবচেয়ে বেশি (মোট আমদানির ৪০%) সোনা আমদানি করে।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ