Alamin Islam
Senior Reporter
কার্ড-সংখ্যার দ্বৈরথ: লাল রেকর্ডেও মেসির চেয়ে এগিয়ে রোনালদো
ফুটবল মাঠে গোল, পেনাল্টি থেকে গোল, কিংবা অ্যাসিস্ট—এই সকল ব্যক্তিগত এবং দলগত ট্রফি জয়ের মাপকাঠিতে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যে তুলনার পারদ সবসময়ই চড়া থাকে। সমর্থকদের তর্কের মূল উপাদান এই সকল অর্জন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে না থাকলেও দু’জনের দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ারের একটি উপেক্ষিত দিক হলো তাঁদের শৃঙ্খলাভঙ্গের রেকর্ড, অর্থাৎ কে কতবার লাল ও হলুদ কার্ড দেখেছেন।
ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলার কারণে রক্ষণের খেলোয়াড়দের মতো প্রতিপক্ষকে রুখতে গিয়ে কার্ড দেখার ঘটনা তাঁদের ক্ষেত্রে কম ঘটলেও, ডিফেন্ডারদের প্ররোচনায় মেজাজ হারানোর ফলে কার্ড দেখার নজিরও কম নয়। এখন প্রশ্ন হলো, দুই মহারথীর মধ্যে কে তাঁর উত্তেজনা ধরে রাখতে পারেননি বেশিবার?কার্ড-সংখ্যার দ্বৈরথ: গোল-অ্যাসিস্টের বাইরে রোনালদো কেন ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডেও এগিয়ে মেসির চেয়ে?
ফুটবল মাঠে গোল, পেনাল্টি থেকে গোল, কিংবা অ্যাসিস্ট—এই সকল ব্যক্তিগত এবং দলগত ট্রফি জয়ের মাপকাঠিতে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যে তুলনার পারদ সবসময়ই চড়া থাকে। সমর্থকদের তর্কের মূল উপাদান এই সকল অর্জন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে না থাকলেও দু’জনের দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ারের একটি উপেক্ষিত দিক হলো তাঁদের শৃঙ্খলাভঙ্গের রেকর্ড, অর্থাৎ কে কতবার লাল ও হলুদ কার্ড দেখেছেন।
ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলার কারণে রক্ষণের খেলোয়াড়দের মতো প্রতিপক্ষকে রুখতে গিয়ে কার্ড দেখার ঘটনা তাঁদের ক্ষেত্রে কম ঘটলেও, ডিফেন্ডারদের প্ররোচনায় মেজাজ হারানোর ফলে কার্ড দেখার নজিরও কম নয়। এখন প্রশ্ন হলো, দুই মহারথীর মধ্যে কে তাঁর উত্তেজনা ধরে রাখতে পারেননি বেশিবার?
রোনালদোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বহিষ্কার
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্ষেত্রে ক্লাব ফুটবলে লাল কার্ড দেখার ঘটনা ছিল নিয়মিত, কিন্তু জাতীয় দলে তিনি ছিলেন আশ্চর্যরকমের ব্যতিক্রম। ২০০৩ সাল থেকে পর্তুগালের জার্সিতে ২২৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পরও তিনি কখনোই লাল কার্ড দেখেননি। সেই বিরল নজিরটি শেষ হয় বৃহস্পতিবারের পর্তুগাল-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে, যখন তিনি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই খেলায় প্রথম আন্তর্জাতিক লাল কার্ডটি দেখেন। এই বহিষ্কারের ফলস্বরূপ, ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রথম এক থেকে দুটি ম্যাচে তাঁকে দর্শক হয়ে থাকতে হতে পারে, এমনকি দুই থেকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে পারেন।
তবে ক্লাব ফুটবলে রোনালদোর লাল কার্ডের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, এবং আল নাসর—এই চার ক্লাবের জার্সিতে তিনি মোট ১২ বার বহিষ্কৃত হয়েছেন। এর মধ্যে আটবার সরাসরি মাঠ থেকে বের হতে হয়েছে তাঁকে, আর চারবার দেখেছেন দুই হলুদ কার্ডের সম্মিলিত ফল। সব মিলিয়ে, তাঁর ১২৯৭ ম্যাচের পেশাদার ক্যারিয়ারে মোট লাল কার্ডের সংখ্যা ১৩টি। এই পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মোট ১৬২টি হলুদ কার্ডও দেখেছেন। সব মিলিয়ে, কার্ডজনিত কারণে রোনালদোকে ৩১টি ম্যাচ মিস করতে হয়েছে।
৪৩ সেকেন্ডের দুঃস্বপ্ন ও মেসির অপেক্ষাকৃত শান্ত রেকর্ড
অন্যদিকে, লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক অভিষেকই শুরু হয় এক চরম নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে। ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে হাঙ্গেরির বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই মাঠে নামার মাত্র ৪৩ সেকেন্ডের মাথায় তিনি লাল কার্ড দেখেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তাঁর দ্বিতীয় লাল কার্ডটি আসে ২০১৯ কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে।
ক্লাব ফুটবলে মেসি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই শান্ত। বার্সেলোনা, পিএসজি ও ইন্টার মায়ামিতে খেলা এই তারকা তাঁর ১১৩৩ ম্যাচের ক্লাব ক্যারিয়ারে মাত্র দুবার লাল কার্ড দেখেছেন। অর্থাৎ, মেসির মোট লাল কার্ডের সংখ্যা মাত্র ৪টি, যার সব কটিই এসেছে সরাসরি বহিষ্কার হিসেবে। এই স্বল্প লাল কার্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১০৩টি হলুদ কার্ড। সব মিলিয়ে, কার্ডের কারণে মেসিকে তাঁর ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচে দলের বাইরে থাকতে হয়েছে।
চূড়ান্ত পরিসংখ্যান: কার্ডের সংখ্যাতেও এগিয়ে রোনালদো
পরিসংখ্যান চূড়ান্ত হিসাব মেলালে দেখা যায়—গোলসংখ্যার মতো (রোনালদোর ৯৫৩ বনাম মেসির ৮৯৫) লাল কার্ড ও হলুদ কার্ড দেখায়ও লিওনেল মেসির চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
মোট ৪টি লাল কার্ড এবং ১০৩টি হলুদ কার্ড দেখা মেসির তুলনায় রোনালদোর ঝুলিতে রয়েছে ১৩টি লাল কার্ড এবং ১৬২টি হলুদ কার্ড। স্পষ্টতই, মাঠের শৃঙ্খলা রক্ষার দিক থেকেও রোনালদোর পরিসংখ্যানই সংখ্যায় ভারী।
রোনালদোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বহিষ্কার
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্ষেত্রে ক্লাব ফুটবলে লাল কার্ড দেখার ঘটনা ছিল নিয়মিত, কিন্তু জাতীয় দলে তিনি ছিলেন আশ্চর্যরকমের ব্যতিক্রম। ২০০৩ সাল থেকে পর্তুগালের জার্সিতে ২২৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পরও তিনি কখনোই লাল কার্ড দেখেননি। সেই বিরল নজিরটি শেষ হয় বৃহস্পতিবারের পর্তুগাল-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে, যখন তিনি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই খেলায় প্রথম আন্তর্জাতিক লাল কার্ডটি দেখেন। এই বহিষ্কারের ফলস্বরূপ, ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রথম এক থেকে দুটি ম্যাচে তাঁকে দর্শক হয়ে থাকতে হতে পারে, এমনকি দুই থেকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে পারেন।
তবে ক্লাব ফুটবলে রোনালদোর লাল কার্ডের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, এবং আল নাসর—এই চার ক্লাবের জার্সিতে তিনি মোট ১২ বার বহিষ্কৃত হয়েছেন। এর মধ্যে আটবার সরাসরি মাঠ থেকে বের হতে হয়েছে তাঁকে, আর চারবার দেখেছেন দুই হলুদ কার্ডের সম্মিলিত ফল। সব মিলিয়ে, তাঁর ১২৯৭ ম্যাচের পেশাদার ক্যারিয়ারে মোট লাল কার্ডের সংখ্যা ১৩টি। এই পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মোট ১৬২টি হলুদ কার্ডও দেখেছেন। সব মিলিয়ে, কার্ডজনিত কারণে রোনালদোকে ৩১টি ম্যাচ মিস করতে হয়েছে।
৪৩ সেকেন্ডের দুঃস্বপ্ন ও মেসির অপেক্ষাকৃত শান্ত রেকর্ড
অন্যদিকে, লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক অভিষেকই শুরু হয় এক চরম নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে। ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে হাঙ্গেরির বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই মাঠে নামার মাত্র ৪৩ সেকেন্ডের মাথায় তিনি লাল কার্ড দেখেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তাঁর দ্বিতীয় লাল কার্ডটি আসে ২০১৯ কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে।
ক্লাব ফুটবলে মেসি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই শান্ত। বার্সেলোনা, পিএসজি ও ইন্টার মায়ামিতে খেলা এই তারকা তাঁর ১১৩৩ ম্যাচের ক্লাব ক্যারিয়ারে মাত্র দুবার লাল কার্ড দেখেছেন। অর্থাৎ, মেসির মোট লাল কার্ডের সংখ্যা মাত্র ৪টি, যার সব কটিই এসেছে সরাসরি বহিষ্কার হিসেবে। এই স্বল্প লাল কার্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১০৩টি হলুদ কার্ড। সব মিলিয়ে, কার্ডের কারণে মেসিকে তাঁর ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচে দলের বাইরে থাকতে হয়েছে।
চূড়ান্ত পরিসংখ্যান: কার্ডের সংখ্যাতেও এগিয়ে রোনালদো
পরিসংখ্যান চূড়ান্ত হিসাব মেলালে দেখা যায়—গোলসংখ্যার মতো (রোনালদোর ৯৫৩ বনাম মেসির ৮৯৫) লাল কার্ড ও হলুদ কার্ড দেখায়ও লিওনেল মেসির চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
মোট ৪টি লাল কার্ড এবং ১০৩টি হলুদ কার্ড দেখা মেসির তুলনায় রোনালদোর ঝুলিতে রয়েছে ১৩টি লাল কার্ড এবং ১৬২টি হলুদ কার্ড। স্পষ্টতই, মাঠের শৃঙ্খলা রক্ষার দিক থেকেও রোনালদোর পরিসংখ্যানই সংখ্যায় ভারী।
এফএকিউ (FAQ) সেকশন
প্রশ্ন: মেসি ও রোনালদোর মধ্যে কার লাল কার্ডের সংখ্যা বেশি এবং কতটি?
উত্তর: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর লাল কার্ডের সংখ্যা বেশি। তাঁর মোট ১৩টি লাল কার্ড (৮টি সরাসরি, ৪টি দুই হলুদ কার্ডের যোগফল), যেখানে লিওনেল মেসির লাল কার্ডের সংখ্যা ৪টি (সব কটিই সরাসরি)।
প্রশ্ন: কার্ড দেখার কারণে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তাঁর ক্যারিয়ারে মোট কতগুলো ম্যাচ মিস করেছেন?
উত্তর: কার্ডের কারণে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে তাঁর ১২৯৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে মোট ৩১টি ম্যাচ মিস করতে হয়েছে।
প্রশ্ন: লিওনেল মেসি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম লাল কার্ড কবে দেখেছিলেন?
উত্তর: ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে হাঙ্গেরির বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই মেসি প্রথম লাল কার্ড দেখেছিলেন। সেই লাল কার্ডটি তিনি মাঠে নামার মাত্র ৪৩ সেকেন্ডেই দেখেছিলেন।
প্রশ্ন: রোনালদো মোট কতটি হলুদ কার্ড এবং মেসি কতটি হলুদ কার্ড দেখেছেন?
উত্তর: রোনালদো তাঁর ক্যারিয়ারে মোট ১৬২টি হলুদ কার্ড দেখেছেন, যেখানে লিওনেল মেসি দেখেছেন মোট ১০৩টি হলুদ কার্ড।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আর্জেন্টিনা বনাম অ্যাঙ্গোলা: ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- HSC Re-scrutiny Result 2025: বোর্ড চ্যালেঞ্জের ফল দেখুন এখানেই
- অ্যাঙ্গোলা বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখুন Live
- আজ ব্রাজিল বনাম সেনেগাল ম্যাচ: একাদশ ফাঁস, জানুন হেড-টু হেড পরিসংখ্যান
- আইএমএফের কড়া বার্তা: ঝুঁকিতে দেশের ১৬ ব্যাংক
- আজ অ্যাঙ্গোলা বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- কিছুক্ষণ পর এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ রেজাল্ট ২০২৫ প্রকাশ: ফল দেখুন এখানেই
- কিছুক্ষণ পর অ্যাঙ্গোলা বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি Live দেখবেন যেভাবে
- কিছুক্ষণ পর এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ রেজাল্ট ২০২৫ প্রকাশ: অনলাইনে যেভাবে দেখবেন
- আর্জেন্টিনা বনাম অ্যাঙ্গোলা: ৮০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- আজ রাতে মুখোমুখি ব্রাজিল বনাম সেনেগাল: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- আজ রাতে মুখোমুখি ব্রাজিল বনাম সেনেগাল: কখন, কোথায় ও কিভাবে দেখবেন লাইভ
- এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ রেজাল্ট ২০২৫ প্রকাশ: ফলাফল দেখুন এখানে
- আজ রাতে মুখোমুখি ব্রাজিল বনাম সেনেগাল: খেলাটি লাইভ দেখার সহজ উপায়
- আজ অ্যাঙ্গোলা বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি কখন, কোথায় ও কিভাবে দেখবেন লাইভ