ঢাকা, বুধবার, ৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলো শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের ক্রিকেটার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ মে ১১ ১৬:০৩:৩৮
ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলো শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের ক্রিকেটার

২০১৯ সালে আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের অ্যান্টি করাপশন নীতি ভঙ্গ করেছিলেন বলে গুনারত্নের ওপর অভিযোগ ওঠে। এরপর তাকে সাময়িকভাবে ক্রিকেট থেকে বহিস্কার করা হয়। ২০১৮ সালে আরব আমিরাতে টি-টেন লিগে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনা হয তার বিরুদ্ধে।

এরপর বিষয়টা নিয়ে মাঠে নামে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট। তারা স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পর সোমবার রায় দিয়েছে, গুনাবর্ধনের ওপর আনা দুটি অভিযোগের কোনোটিরই প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাকে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া গেলো।

তবে তার আরেক সতীর্থ নুয়ান জয়সার ওপর আনা চারটি অভিযোগের মধ্যে তিনটি বাতিল করে দিয়ে একটিকে বলবৎ রেখেছে। আইসিসি বিবৃতিতে বলেছে, ‘পুরো সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত পক্ষ সমূহের কাছে প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে আপিলের সুযোগও রাখা হবে।’

গুনাবর্ধনের ওপর অ্যান্টি করাপশন কোডের ২.১.৪ আর্টিকেল অনুসারে অভিযোগ আনা হয়। যেটার অধীনে একজন ক্রিকেটারকে সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে ফিক্সিংয়ে জড়িত হওয়া, জড়িত হওয়ার জন্য কাউকে অনুপ্রেরণা দেয়া কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত হওয়া বোঝায়।

একই সঙ্গে তারপ্রতি আরো একটা অভিযোগ আনা হয়, ২.৪.৫ আর্টিকেল অনুসারে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের সামনে পুরোপুরি তথ্য প্রকাশ করতে ব্যর্থ হওয়া। সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের সামনে ফিক্সিং কিংবা কোনো অনৈতিক কাজে জড়িত হওয়ার প্রস্তাব, ইঙ্গিত বা কোনো সুযোগ আসার পর সেটা অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া।’

এই দুটি অভিযোগ থেকেই গুনাবর্ধনেকে পুরোপুরি মুক্তি দেয়া হয়েছে। জয়সাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে ফল পরিবর্তনে প্রভাব বিস্তার করা, ম্যাচের অগ্রগতিতে প্রভাব বিস্তার করা কিংবা অন্য ম্যাচের মধ্যে অন্য কোনো অনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ থেকে। শুধু অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের কাজে অসহযোগিতার যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেটাইকেই বহাল রেখেছে ট্রাইব্যুনাল।

গত মাসেই অবশ্য ভিন্ন অভিযোগে নুয়ান জয়সাকে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ