ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২

আফিফ মিরাজের ব্যাটিংয়ের কাছে অসহয় রশিদ-মুজিবদের লেগ স্পিন ও গুগলি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ ফেব্রুয়ারি ২৩ ১৯:১৯:৪৩
আফিফ মিরাজের ব্যাটিংয়ের কাছে অসহয় রশিদ-মুজিবদের লেগ স্পিন ও গুগলি

শুরুটা হয় দলীয় স্কোর যখন ১৩ সে সময় লিটনকে ফিরিয়ে দেন ওমর ফারুক, একই ওভারে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তামিমের উইকেটটিও নিয়ে নেয় এ পেসার। ক্রিজে তখন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। মাত্র ৩ রান করেই দলীয় স্কোর যখন ১৮ ফারুকের বলে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর।

একই ওভারের শেষ বলে ইয়াসির আলীর উইকেট টিও তুলে নেয় ফারুক। দেখতে দেখতেই বিনা উইকেটে ১৩ থেকে ১৮ রানে চার উইকেট পড়ে যায় টাইগারদের। মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে সাকিব এবং মাহমুদুল্লাহ ও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি মাত্র ৪৫ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে বিশাল বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দলীয় স্কোর ৪৫ থেকে ১৩৯ রানে নিয়ে যায় আফিফ হোসেন এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।

টপ অর্ডারের এধরনের অসহায় আত্মসমর্পণের পর স্বভাবতই ইনিংসটি ১০০ রানের নিচে গুটিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে দুই তরুণ ক্রিকেটারের আফগান বোলিংয়ের বিপক্ষে এ ধরনের প্রতিরোধ গড়া খুবই প্রশংসনীয়।আফিফ-মিরাজের জুটি ভাঙ্গার জন্য পরবর্তীতে রশিদ খানকে বোলিংয়ে আনা হয়। তবে বলতে হবে এক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্বের সেরা লেগস্পিনার ব্যর্থ হয়েছেন।

বেশ অনায়াসেই রশিদ কে খেলেছেন আফিফ এবং মিরাজ। রশিদের বলে শুধু ডিফেন্ড নয় অ্যাটাকিং খেলার চেষ্টা করেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দুই তরুণ ক্রিকেটার জানতেন রশিদ এর মূল লক্ষ্য জুটিটা ভাঙ্গা। তাই বেশ দেখেশুনেই রশিদ কে খেলেছেন এই দুই তরুণ। তবে যখনই রশিদ কোন লুজ বল দিয়েছেন সেগুলোতে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন এ দুই ব্যাটসম্যান।

শেষ পর্যন্ত পুরো ম্যাচে আফগান বোলারদের রীতিমত শাসন করেছে আফিফ ও মিরাজ। সব ধরনের কারিশমা দেখিয়েও পুরো ১০ ওভার বল করার পরও রশিদ-মুজিব-নবীরা আফিফ ও মিরাজকে আউট করতে পারেনি। শেষ মেস অবিস্মরণীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই জন। মিরাজ ৮১ আর আফিফ ৯৩ রানে অপরাজিত থাকে। আর বাংলাদেশ চার উইকেটের জয় পায়।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ