ঢাকা, শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২

শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেছে আফগানিস্তান

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ ফেব্রুয়ারি ২৮ ১৬:৩৮:৩০
শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেছে আফগানিস্তান

রিয়াজ হাসান আর রহমানউল্লাহ গুরবাজের উদ্বোধনী জুটি চট্টগ্রামে দারুণ ছন্দে। ভালো বলে সিঙ্গেল কিংবা ডট আর বাজেভাবে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সফরকারীদের ওপেনিং জুটি। এরই মধ্যে ৩০ বল খেলে ৩১ করেছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। অন্যদিকে, ৩৩ বলে ২৯ করেছেন রিয়াজ।

আফগানদের জয়ের জন্য এখনো প্রয়োজন ৩৯ ওভারে ১৩০ রান। হাতে আছে ১০ উইকেট। যদিও শরিফুলের ওভারে গুরবাজকে সাজঘরে পাঠানোর একটা সুযোগ এসেছিল। গুরবাজের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার আর প্রথম স্লিপের মধ্য দিয়ে চলে গেল বল, কেউ আটকাতে পারল না। শরীফুলের আঁটসাঁট বোলিংয়েও লাভ হলো না, চার বের করে নিল আফগানিস্তান।

প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের মিশনে ব্যাটিংটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আফগান বোলার এবং ফিল্ডারদের দারুণ নৈপুণ্যে মাত্র ১৯২ রানেই অলআউট হয়ে গেছে তামিম বাহিনী। আগের দুই ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি আফগান স্পিনত্রয়ী রশিদ-নবী-মুজিব। তবে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে ঠিকই জ্বলে উঠলেন তারা। রশিদের তিন উইকেটের পাশাপাশি নবী নিলেন দুই উইকেট। এ ছাড়া রান আউট হয়েছে তিনটি।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে একপাশ আগলে রাখতে পারলেও ফিনিশারের ভূমিকায় ছিলেন না ‘মিস্টার ফিনিশার’। ৫৩ বল খেলে টেস্ট মেজাজে করেছেন ২৯ রান। যার ভেতর বাউন্ডারির মার নেই একটিও। তিনি কিছুটা চালিয়ে খেলতে পারলেও হয়তো দলীয় স্কোরটা দুইশ ছাড়াত।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দারুণ খেলছিলেন দুই ওপেনার তামিম ও লিটন। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে গেলেন তামিম। ফজলহক ফারুকির বলে স্টাম্প উপড়ে যায় দেশসেরা ওপেনারের। এ নিয়ে সিরিজের তিন ম্যাচের সব কটিতেই তামিমের উইকেট তুলে নিলেন তরুণ পেসার ফজলহক।

তামিমের আউটের পর লিটনের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে শতরানের গোড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু আজমতউল্লাহর বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছিলেন সাকিব, বল ব্যাটেও লেগেছিল। কিন্তু এরপর সাকিবের পেছনেই এল, মাটিতে একবার পড়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।

ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচে টাইগার এ অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে ৬০ রান। তবে আগের দুই ম্যাচের তুলনায় আজ তুলনামূলক কিছুটা ভালো ছিলেন। প্রথম ম্যাচে ১০ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন ২০। আর আজ করলেন ৩০। তবে প্রতি ম্যাচেই বাজেভাবে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন।

সাকিবের পর ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি মিস্টার ডিফেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমও। আগের ম্যাচে তৃতীয় উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে ২০২ রানের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু আজ পারলেন না তেমন কিছু। রশিদ খানের ঘূর্ণিতে উইকেটকিপার গুরবাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৫ বলে মাত্র ৭ রান করেই ফিরে গেছেন। আগের ম্যাচেই খেলেছিলেন ৮৩ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ