ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২

আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ সিরিজের ফ্লপ সুপারস্টারদের তালিকা প্রকাশ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ মার্চ ০৬ ১৯:০৯:১৩
আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ সিরিজের ফ্লপ সুপারস্টারদের তালিকা প্রকাশ

ইয়াসির আলী রাব্বি: অনেক বেশি প্রত্যাশার চাপ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন ইয়াসির। জাতীয় দলের সাথে প্রায় তিন বছর ধরে ঘুরেছেন তবে ওয়ানডে এবং t20 ম্যাচ খেলার কখনো সুযোগ পাননি। তবে এবার নির্বাচকদের আস্থা ঠিকই পেয়েছিলেন রাব্বি। তবে সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন রাব্বি। পরবর্তী দুই ম্যাচেও তার স্কোর ছিলো দুই অঙ্কের নিচে। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কিছুটা সাবলীল ব্যাটিং করলেও গুরুত্বপূর্ণ সময় রান আউট হয়ে যান রাব্বি। ফলে বলা চলে এই সিরিজে চরম রকমের ব্যর্থতা দেখতে হয়েছে এ ব্যাটসম্যানকে।

মুনিম শাহরিয়ার: এবারের বিপিএল এর মাধ্যমে হঠাৎ করেই লাইমলাইটে চলে আসা। মাত্র এক মাসের ব্যবধানেই ডাক পেয়ে যান জাতীয় দলে। তাহলে কি অতি দ্রুত সুযোগ পাওয়াই কাল হয়ে গেল মুনিম-এর জন্য? প্রথম ম্যাচে ১৭ রান করে নিজের ব্যাটিং ঝলক কিছুটা দেখিয়েছিলেন এই ওপেনার। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের পার্থক্যটা এখন হয়তো বুঝতে পারছেন মুনিম। এখনো মুনিম-এর সামনে অনেক সময় এবং সুযোগ রয়েছে তবে এবারে সিরিজ নিশ্চয়ই তার প্রত্যাশামতো কাটেনি।

গুলবাদিন নাইব: ২০১৯ বিশ্বকাপে ছিলেন দলের অধিনায়ক আর সেই গুলবাদিন নাইবেরই এখন মূল একাদশে খেলাটা অনিশ্চিত। এবারের সিরিজেও ব্যাট হাতে কিংবা বল হাতে কোন কিছুই করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৭ রান করেন গুলবাদিন। দ্বিতীয় ম্যাচে সাইড বেঞ্চে বসে সময় কাটাতে হয় এই অলরাউন্ডার কে। পরবর্তীতে তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেলে বল হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি এবং ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন পড়েনি। ফলে এবারের সিরিজটি এক অর্থে বসে কাটিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

মুস্তাফিজুর রহমান: সিরিজ শুরু হওয়ার আগে টাইগার বোলিংয়ের মূল অস্ত্র ছিল মুস্তাফিজ। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তার পারফরমেন্স ও ছিল সন্তুষ্টজনক। তবে সিরিজ সামনে গড়াতে থাকলে মুস্তাফিজের পারফরম্যান্সও হতে থাকে মলিন। এই সিরিজের অধিকাংশ সময় মুস্তাফিজের বল বেশ সাবলীলভাবেই খেলেছেন আফগান ব্যাটসম্যানরা। অন্যান্য বোলারদের সময় যখন রানের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছিল ব্যাটসম্যানদের। সেই সময় মুস্তাফিজ এলে যেন কিছুটা অনায়াসেই রান করছিল ব্যাটসম্যানরা। তাই বলা যেতেই পারে মুস্তাফিজের মতো একটি বোলার এর বিপক্ষে এত সহজে রান তোলা হলে, তা সেই বোলারের জন্য একটি বিশাল ব্যর্থতা।

হাসমত উল্লাহ সাহিদি: তরুণ ব্যাটসম্যান সাহিদির উপর ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয় ম্যানেজমেন্ট। এই তরুণ ক্রিকেটারের উপর অগাধ ভরসা রয়েছে আফগানিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের। তবে এবারে সিরিজে টিম ম্যানেজমেন্টের সেই ভরসার ছিটেফোটাও রাখতে পারেননি আফগান অধিনায়ক। টাইগারদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে করেন ২৮ রান। এরপরের দুই ম্যাচে সাহিদির স্কোর ছিল যথাক্রমে ২ এবং ৫। এছাড়াও অধিনায়কত্বে ও বেশ বড় কিছু ভুল করেছেন এই নবাগত অধিনায়ক। প্রথম ওয়ানডেতে টাইগারদের প্রথম ছয় উইকেট ফেলে দেওয়ার পর নিজের উইকেট শিকারি বোলারদের বোলিং না করিয়ে বিতর্কিত হন এই তরুণ। সেসময় রশিদ, মুজিব ,কিংবা নবীদের বোলিং করালে হয়তো প্রথম ম্যাচটা জিততে পারতো আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচ জিতলেই সিরিজটি হাতে চলে আসতো আফগানদের। সব মিলিয়ে ব্যাট হাতে এবং অধিনায়কত্বে উভয় ক্ষেত্রেই এবারের সিরিজে ব্যর্থতা দেখতে হয়েছে সাহিদির।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ