ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

আবারও গোল বন্যা দেখলো ফুটবল প্রেমিরা, রিয়াল মাদ্রিদের জালে বার্সার এক হালি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ মার্চ ২১ ০৯:৫৫:১১
আবারও গোল বন্যা দেখলো ফুটবল প্রেমিরা, রিয়াল মাদ্রিদের জালে বার্সার এক হালি

স্প্যানিশ ফুটবলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৈরথের একটি হলো এই রিয়াল-বার্সার মধ্যকার লড়াই। এবার লা লিগার ম্যাচে মুখোমুখি হয় দল দুটি। এর আগের পাঁচ ক্ল্যাসিকোর সবগুলোতে জয়লাভ করা রিয়াল এবার যেন খেই হারিয়ে ফেললো জাভির হার্নান্দেজের দলের কাছে।

রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া এই ম্যাচের অধিকাংশ সময় জুড়ে স্বাগতিকদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধের শেষেই ২ গোলের লিড নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আরও দুইবার রিয়ালের জালে বল জড়ায় জাভি হার্নান্দেজের দল।

বার্সেলোনার পক্ষে জোড়া গোল করেছেন পিয়েরি-এমেরিক অবামেয়াং, এছাড়া রোনাল্ড আরাউহো ও ফেরান তোরেস ওপর গোল দুটি করেন।

ঘরের মাঠে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম সুযোগটি আসে রিয়াল মাদ্রিদের সামনে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দারুণ এক পাস ধরে বার্সার গোলপোস্টে শট নিয়েছিলেন ভালভার্দে। কিন্তু স্টেগান ঝাঁপিয়ে পরে শটটি কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন।

দ্বাদশ মিনিটের মাথায় অবিশ্বাস্য মিস করেন অবামেয়াং। তোরেসের পাস থেকে রিয়ালের ডিবক্সে একেবারে ফাকা থেকে এবং খুব কাছ থেকেও কর্তোয়াকে পরাস্ত করতে পারেননি আউবামেয়াং। ফিরতি শটে পেড্রিকেও গোলবঞ্চিত করেন কর্তোয়া।

১৭তম মিনিটের সময় ফেরান তোরেসের আরেকটি প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে আরও একটি সহজ সুযোগ মিস করে বার্সেলোনা।

রিয়ালের ডিবক্সের ভেতরে পেদ্রি দুর্দান্ত এক পাস দিয়েছিল ফেরান তোরেসকে। তোরেসের সামনে তখন কেবল কর্তোয়া। বাম পায়ের শটও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পেছন থেকে ট্যাকলের মাধ্যমে সেই শট ব্লক করেন মিলিটাও।

ম্যাচের ২৯তম মিনিটে আর রিয়ালকে বাঁচাতে পারেনি কেউই। দেম্বেলের ক্রস থেকে হেডে গোল করে বার্সালোনাকে এগিয়ে দেন আউমাবেয়াং।

ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ এসেছিল অবামেয়াং এর সামনে। শটও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু থিবো কর্তোয়া ঝাঁপিয়ে পরে রক্ষা করেন সেই যাত্রায়।

পাল্টা আক্রমনে অবিশ্বাস্য এক সুযোগ হারান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সতীর্থ এক মিডফিল্ডারের দুর্দান্ত পাস খুঁজে পায় ফাকায় থাকা ভিনিসিয়াসকে। বল নিয়ে ছুটে যান বার্সার ডিবক্সে। সামনে ছিল কেবল স্টেগান। কিন্তু স্টেগানকে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মাটিতে পরে যান।

৩৭তম মিনিটে আরও একবার গোল পায় বার্সা। এবার দেম্বেলের কর্নার থেকে আরাউহো হেডে পরাস্ত করেন কর্তোয়াকে। বার্সেলোনা লিড পায় ২-০ গোলের। বিরতি পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল বার্সা।

বিরতি থেকে ফিরেই তৃতীয় গোলটিও পেয়ে যায় বার্সেলোনা। এবার স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফেরান তোরেস গোল করে বার্সার লিড ৩-০ করেন। অবামেয়াং এর পাস থেকে গোলটি করেন তিনি।

তৃতীয় গোলের রেশ না কাটতেই ৫১তম মিনিটে আরও একবার রিয়ালের জালে বল পাঠায় বার্সা। এবার গোল করেন অবামেয়াং। কিন্তু এই গোল নিয়ে তৈরি হয় ঝামেলা। সাইড রেফারি অফসাইডের ইঙ্গিত দিলে রিয়ালের প্লেয়াররা আর বাধা দেয়নি বা চেষ্টা করেনি। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে সেটাকেই গোলের নির্দেশ দেন রেফারি।

ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে আরেকটি গোল প্রায় হয়েই গিয়েছিল। কিন্তু আউবামেয়াং বলে স্পর্শ করলেও সেটা পোস্টে না থাকায় পঞ্চম গোলটি আর হয়নি বার্সার।

ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে সহজ এক সুযোগ মিস করেন দেম্বেলে। মিলিটাওর সঙ্গে বল নেয়ার লড়াইয়ে জিতেন দেম্বেলে। সামনে এখন কর্তোয়া আর গোলপোস্ট। দাড়িয়ে থেকেও এই গোলের সুযোগ মিস করেন দেম্বেলে। বল মারেন বাইরে দিয়ে।

ম্যাচের বাকিটা সময়ে বল দখলের লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই কাটায় দুই ক্লাব। ফলে আর কোন গোল না হলে ম্যাচে ৪-০ গোলের জয় পায় বার্সেলোনা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ