১০ বছরে দেশে এসেছে ৩৩ হাজার বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল রাখা রেমিট্যান্স যোদ্ধার মরদেহ

প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা প্রতি বছর প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার আয় করে এবং দেশের মোট জিডিপির প্রায় ১২ শতাংশ গঠন করে। তবে প্রবাসী শ্রমিকদের মৃত্যুর হার ক্রমশ উদ্বেগজনক। গত ১০ বছরে প্রায় ৩৩ হাজার ৯৯১ জন প্রবাসী শ্রমিক লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন।
২০২৩ সালে ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে, যা দৈনিক গড়ে ১২ জনের সমান। প্রধানত মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) এবং হৃদরোগের কারণে তরুণ ও মধ্যবয়সী প্রবাসীরা বেশি মারা যাচ্ছেন। কঠিন পরিবেশ, অতিরিক্ত পরিশ্রম, অস্বাস্থ্যকর বাসস্থান এবং মানসিক চাপ এ মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আসা ৩০৭ জন প্রবাসীর লাশের মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫৬ শতাংশ স্ট্রোকে, ২০ শতাংশ হৃদরোগে, ১৮ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায়, ৪ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনায়, ১ শতাংশ আত্মহত্যায় এবং বাকি ১ শতাংশ খুন হয়েছেন।
এ ধরনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো বিশদ অনুসন্ধান না থাকলেও, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ মৃত্যুর কারণগুলো স্পষ্ট এবং করণীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও সুস্থতার দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, যাতে তারা নিরাপদে কাজ করতে পারেন এবং তাদের মৃত্যুহার কমানো যায়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৪ হাজার ৫৫২জন, ২০২২ সালে ৩ হাজার ৯০৪জন, ২০২১ সালে ৩ হাজার ৮১৮ জন, ২০২০ সালে ৩ হাজার ১৯ জন ও ২০১৯ সালে ৪ হাজার ৩৪ জন, ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৫৭ জন, ২০১৭ সালে ২ হাজার ৯১৯ জন, ২০১৬ সালে ২ হাজার ৯৮৫ জন, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৮৩১ এবং ২০১৪ সালে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন ২ হাজার ৮৭২ জন। গত ২০১৪ হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন ৩৩ হাজার ৯৯১ জন প্রবাসী শ্রমিক।
এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মরদেহের সঙ্গে যে নথিপত্র আসে সে অনুযায়ী মৃত্যুর কারণ লিখে রাখা হয় বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কে। কীভাবে এতো প্রবাসী মারা যাচ্ছে সেটা বোঝার জন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আসা ৩০৭ জন প্রবাসীর লাশের মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করেন তারা।
এতে দেখা গেছে, ১৭৬ জনই (৫৬ শতাংশ) মারা গেছেন স্ট্রোকে যারা তরুণ কিংবা মধ্যবয়সী। এরপর ৬২ জনের (২০ শতাংশ) মৃত্যুর কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত বা স্বাভাবিক মৃত্যু। কর্মক্ষেত্রে বা বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৫৭ জন (১৮ শতাংশ)।
এছাড়া, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১২ জন (৪ শতাংশ)। আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন। বাকি ২জন খুন। শুধু এক মাস নয়, গত ১৪ বছরের বিভিন্ন সময়ের মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ একই রকম তথ্য পাওয়া গেছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম টেস্ট প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ৪ রেকর্ড
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বৃষ্টির কারণে বন্ধ ম্যাচ
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ
- মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোস্তফা মোহসীন মন্টু
- শেখ হাসিনা যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, জানালেন অলি
- মারা গেলেন ভারতের উদিয়মান তারকা ক্রিকেটার
- বিসিবিতে প্রধান কোচ হয়ে ফিরলেন হান্নান সরকার
- আজ ৮ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, থাকুন সতর্ক
- আ. লীগের কার্যক্রম স্থগিত, নিষিদ্ধ করা হয়নি: ড. ইউনূস
- ৬০ কোম্পানির কাছে মূলধন রোডম্যাপ চাইল বিএসইসি
- সাকিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা: নাম প্রকাশ
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১৪ জুন ২০২৫)
- করোনা সংক্রমণ: স্কুল বন্ধ নাকি চলবে, সিদ্ধান্ত জানালো মাউশি
- সোনার দামে বড় পতনের শঙ্কা, আসছে বড় পরিবর্তন
- ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি ১০০ আসনও পাবে না