ব্রেকিং নিউজ: একসঙ্গে ধেয়ে আসছে চারটি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়

প্রায় সাত দশক পর একই সময়ে চারটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল এলাকা জুড়ে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় রয়েছে, যা দুর্যোগ ইতিহাসে বিরল একটি ঘটনা। এই চারটি ঘূর্ণিঝড় ফিলিপাইনের জন্য নতুন বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। মঙ্গলবার জাপানের আবহাওয়া সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৫১ সালে ঝড়ের রেকর্ড রাখা শুরুর পর এই প্রথম নভেম্বর মাসে একসঙ্গে চারটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় একত্রে আঘাত হানতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম ইনশিং, তোরাজি, উসাগি এবং ম্যানই, যেগুলো ভিয়েতনাম থেকে গুয়াম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার টাইফুন ইনশিং প্রথম আঘাত হানে উত্তর-পূর্ব ফিলিপাইনের লুজোন অঞ্চলে, যার বাতাসের গতিবেগ ছিল আটলান্টিকের ক্যাটাগরি ৪ হারিকেনের সমান। যদিও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, তবে প্রবল বৃষ্টিপাত, ঢেউ এবং ভূমিধসের কারণে এই অঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ইনশিং পরে দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে পশ্চিম দিকে চীনের হাইনান প্রদেশের দিকে এগিয়ে যায় এবং এর প্রভাব ভিয়েতনাম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র টাইফুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা কাগায়ান ও ইলোকো নর্তে পরিদর্শনে যান। ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি স্থানীয়দের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, "যদিও আমরা ভাগ্যবান যে কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে ক্ষয়ক্ষতি যা হয়েছে তা পূরণ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে। আমরা আরেকটি সম্ভাব্য ঝড়ের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
ইনশিংয়ের পরপরই টাইফুন তোরাজি আঘাত হানে ফিলিপাইনের লুজোন অঞ্চলের পূর্ব উপকূলে। এটি ক্যাটাগরি ১ হারিকেনের শক্তি নিয়ে আঘাত হানার আগে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে তোরাজি দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে দুর্বল হয়ে অগ্রসর হচ্ছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব চীনের কিছু অংশে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে।
ফিলিপাইনের জন্য আরও বিপদ ডেকে আনছে ক্রান্তীয় ঝড় উসাগি ও ম্যানই। উসাগি বর্তমানে লুজোনের প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থান করছে এবং এটি টাইফুনে রূপান্তরিত হয়ে ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি, ক্রান্তীয় ঝড় ম্যানইও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকায় ঝুঁকি তৈরি করেছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, মহাসাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণেই এই ধরনের বিরল ও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। এই চারটি ঘূর্ণিঝড় ফিলিপাইনের জন্য নতুন সংকট তৈরি করেছে, যেখানে আগের টাইফুনের পর অনেক মানুষ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে এবং পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা চলছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের দিনক্ষণ ঘোষণা
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম টেস্ট প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ৪ রেকর্ড
- মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোস্তফা মোহসীন মন্টু
- শান্ত বিদায়, বিসিবির চমক—ওয়ানডে অধিনায়ক মিরাজ!
- তাণ্ডব একদিনেই আয় ৫ কোটি+, ৭ দিনে আয়ের ইতিহাস গড়লেন শাকিব
- বাংলাদেশে আজ ১ ভেরি ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- মারা গেলেন ভারতের উদিয়মান তারকা ক্রিকেটার
- বিসিবিতে প্রধান কোচ হয়ে ফিরলেন হান্নান সরকার
- ক্যান্সারে আক্রান্ত আবদুল হামিদের রাজনৈতিক আক্ষেপ ও ভবিষ্যতের বার্তা
- ৬০ কোম্পানির কাছে মূলধন রোডম্যাপ চাইল বিএসইসি
- সাকিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা: নাম প্রকাশ
- আকাশে ভাসা স্বপ্ন ভেঙে গেল ‘Mayday’ সংকেতে, কী ছিল ক্যাপ্টেনের শেষ বার্তা?
- “নিষিদ্ধ নয়, বিচারই প্রাধান্য—আ.লীগ প্রসঙ্গে স্পষ্ট ড. ইউনূস”
- সমর্থকদের রোষে রেফারি ও স্ত্রী, পেনাল্টি বঞ্চনায় তুঙ্গে ক্ষোভ
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১৪ জুন ২০২৫)