ঢাকা, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তি চেয়ে যে ঘোষণা দিলেন শেখ হাসিনা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ২৮ ১৬:৩০:২২
চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তি চেয়ে যে ঘোষণা দিলেন শেখ হাসিনা

ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি এবং সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে শেখ হাসিনা সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা উচিত। এই ঘটনায় যারা জড়িত, তারা সন্ত্রাসী এবং তাদের শাস্তি পেতেই হবে।”

শেখ হাসিনা বর্তমান সরকারের কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। তারা মানুষের জীবন, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণেও অক্ষম। এই সরকার সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী।”

তিনি আরও বলেন, “যদি এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বর্তমান সরকারকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দেশবাসীকে আহ্বান জানাই—এই নৈরাজ্য, সন্ত্রাস এবং ধর্মীয় উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান।”

ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতার করে তার ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। অবিলম্বে তার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

চট্টগ্রামে একটি মন্দির পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, “এর আগে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ, এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ, ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এই ধরনের হামলা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সব সম্প্রদায়ের মানুষের জানমাল এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।”

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ছাত্রজনতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, “নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা এখনো বিরোধী দলকে দমন করার জন্য হামলা-মামলা এবং গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি চালাচ্ছে। আমি এই সব কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানাই এবং দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।”

শেখ হাসিনার এই বিবৃতি তার দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে আন্দোলনের জোয়ার তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়বে কি না, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে