বিপিএলের ৮ ম্যাচে ফিক্সিং সন্দেহ, ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালীন ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠার পর, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুক্রবার তিনি জানান, কোনো ক্রিকেটার যদি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ক্রিকেট বই
বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ) বিভিন্ন গোপন তথ্য এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আটটি ম্যাচকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে। একই সঙ্গে ১০ জন ক্রিকেটার এবং চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।
সন্দেহের তালিকায় থাকা ১০ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ছয়জন জাতীয় দলের সদস্য, দুজন আনক্যাপড (জাতীয় দলে না খেলা) বাংলাদেশি ক্রিকেটার এবং দুজন বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে আলোচিত নামটি হলো এনামুল হক বিজয় ও সাইফুদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে যে তিনি তিনটি আলাদা ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারেন, যা ফিক্সিংয়ের সাথে সম্পর্কিত। এর পাশাপাশি, শফিউল ইসলাম, থিসারা পেরেরা, মোহর শেখ, আরিফুল হক এবং মিথুন আলীসহ আরও কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম উঠে এসেছে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে দুর্বার রাজশাহী এবং ঢাকা ক্যাপিটালস সবচেয়ে বেশি সন্দেহের মুখে পড়েছে, কারণ এদের বিরুদ্ধে ১২টি করে সতর্কতামূলক ইঙ্গিত (ইন্টিগ্রিটি ফ্ল্যাগ) পাওয়া গেছে। এছাড়া, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৬ এবং ২টি সতর্কবার্তা রয়েছে।
সন্দেহভাজন ম্যাচগুলোর তালিকা
সন্দেহভাজন আটটি ম্যাচ হলো:
ফরচুন বরিশাল বনাম রাজশাহী (৬ জানুয়ারি)
রংপুর রাইডার্স বনাম ঢাকা (৭ জানুয়ারি)
ঢাকা বনাম সিলেট (১০ জানুয়ারি)
রাজশাহী বনাম ঢাকা (১২ জানুয়ারি)
চিটাগং বনাম সিলেট (১৩ জানুয়ারি)
বরিশাল বনাম খুলনা টাইগার্স (২২ জানুয়ারি)
চিটাগং বনাম সিলেট
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, "তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে পারছি না, কারণ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবে যদি কারও বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে শাস্তি অত্যন্ত কঠোর হবে। দোষীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না এবং শাস্তি এমন হবে যা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।"
বিপিএলে ফিক্সিং কোনো নতুন ঘটনা নয়। ২০১২ সালে লিগের যাত্রা শুরুর পর থেকেই ফিক্সিং বিতর্ক জড়িয়ে আছে। ২০১৩ সালের আসরে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল স্পট-ফিক্সিং ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন, যদিও তিন বছর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছিল। এ ঘটনার জেরে ২০১৪ সালে বিপিএল এক আসর পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় বিসিবি।
বর্তমান তদন্তের ফল কী দাঁড়ায়, তা নিয়ে দর্শক ও ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তবে বিসিবি এবার কঠোর অবস্থান নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- সোনার বাজারে ঝড়! দাম পড়ে যেতে পারে ৮৫ হাজারে
- আমি বলব না কবুল”– তারপর কী ঘটল? ভাইরাল রাজনগরের বিয়ে (ভিডিওসহ)
- ভিন্সের উইকেট নেওয়ার পরও সাকিবকে বোলিংয়ে না আনায় ক্ষোভে সমর্থকরা
- শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব ফেরাতে বড় উদ্যোগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
- মুস্তাফিজকে পরের ম্যাচে রাখার কারণ জানালেন দিল্লি অধিনায়ক
- ডিএসই সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন বাতিল করল বিএসইসি
- দেশের সোনার বাজার অস্থির: ১৮, ২১, ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- গুজরাটের বড় জয়, দিল্লির অধিনায়কের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া
- দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটানস: টস শেষ, জানুন একাদশে মুস্তাফিজের অবস্থান
- শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরাতে পাঁচ সদস্যের দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ চাই
- একলাফে কমলো সোনার দাম, আজ ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ম্যাচ হেরে আইপিএল থেকে বিদায়, ফাফ ডু প্লেসিসের কড়া মন্তব্য
- সেনানিবাসে আশ্রয় পাওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ
- চেন্নাইয়ের হাসপাতালে জনসম্মুখে শেখ হাসিনা, যা জানা গেল
- বিএসইসির সভায় পুঁজিবাজার উন্নয়নে ৯ দফা প্রস্তাব উত্থাপন