শফিকুল আলমের ফেসবুক পোস্টে সারা দেশে আলোচনা ঝড়: ‘দুঃখিত, আপা! এটি শেষ!’

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডিতে সম্প্রতি একটি চমকপ্রদ পোস্ট শেয়ার করেছেন, যা সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এই পোস্টে তিনি আগস্ট মাসে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরে সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
শফিকুল আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, অধ্যাপক ইউনূস তখনই জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে নিরপেক্ষ তদন্ত চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, জাতিসংঘই এমন একটি তদন্ত চালাতে সক্ষম। সেই সময় অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন এবং পুরনো বাংলা প্রবাদ ‘খাল কেটে কুমির আনার ব্যবস্থা হচ্ছে’ উল্লেখ করে ছিলেন। তবে অধ্যাপক ইউনূস তার অবস্থান থেকে এক চুলও নড়েননি।
এছাড়া, শফিকুল আলম আরও বলেছেন যে, বাংলাদেশে সবাই জানত জুলাই ও আগস্ট মাসে কী ঘটেছিল, কে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশ কিভাবে কাজ করেছে, এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের ভূমিকা কী ছিল। তবে আন্তর্জাতিক মহলে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন জরুরি ছিল, এবং সেটি অবশেষে জাতিসংঘ প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আলম মন্তব্য করেন যে, এটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উপর গুরুতর আঘাত হিসেবে এসেছে।
তিনি বলেন, "শেখ হাসিনার রাজনীতিতে ফিরে আসার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। যদি আওয়ামী লীগ এবং তাদের বিশাল কর্মীবাহিনী, যারা হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়নি, দলকে পুনর্জীবিত করতে চায়, তবে একমাত্র উপায় হল—শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের প্রতি অবিশ্বাস প্রকাশ এবং জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।"
শফিকুল আলম তার পোস্টে ১৯৯০ সালের ঘটনা স্মরণ করে বলেন, "সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ যখন ক্ষমতাচ্যুত হন, তখন তার বয়স ছিল ৫৯ বছর, এবং তাকে দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।" তিনি আরও বলেন, এরশাদ পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠায়, তবে কিছুদিন পর বেশ কয়েকজন নেতা তার প্রতি সমর্থন জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "এরশাদ পরে রাজনীতিতে ফিরে এসে প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির ‘কিংমেকার’ হিসেবে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।" তিনি শেখ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক মহলে রেকর্ড করা হয়েছে এবং এরশাদের শাসনামলের চেয়ে এই সমালোচনা অনেক বেশি তীব্র হয়েছে।
শেষে শফিকুল আলম লেখেন, "অত্যন্ত দুঃখিত, আপা! এটি শেষ!"
এই পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলে দিয়েছে, এবং শফিকুল আলমের মন্তব্য এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদন কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক তীব্র আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
এম/আর/এ
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চুপ্পুকে সরিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আগে নতুন রাষ্ট্রপতি চান পিনাকি
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম ওয়ানডেতে লড়াকু টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা
- ৮ গোল: শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম বাহারাইনের মধ্যকার ম্যাচের ৯০ মিনিটের খেলা
- নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব পয়েন্ট টেবিল: গ্রুপ সি-তে উড়ছে বাংলাদেশ
- মাহিয়া মাহির মৃত্যু গুজব: সত্য ও মিথ্যার বিশ্লেষণ
- জেতা ম্যাচ হেরে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ
- ফাফ ডু প্লেসির ডাবল সেঞ্চুরি রেকর্ডে কাঁপছে ক্রিকেট বিশ্ব
- চেলসি বনাম পালমেইরাস কোয়ার্টার-ফাইনাল: ১-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ৪-০ গোলে শেষ হলো ম্যাচ
- আল-হিলাল বনাম ফ্লুমিনেন্স: নাটকীয়ভাবে শেষ হলো কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে দুই পরিবর্তন
- বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার: আবারও গোল, ৯০ মিনিটের খেলা শেষ
- বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার: লাইভ দেখবেন যেভাবে
- অ-১৮ এশিয়া কাপে জাপানের কাছে ১১-০ গোলে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ