ইফতারে মুড়ির সঙ্গে জিলাপি: উপাদেয় নাকি ক্ষতিকর জানালেন পুষ্টিবিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান এলেই ইফতারে পছন্দের নানা পদ নিয়ে চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তেলে ভাজা পাকোড়া, বেগুনি, ছোলা—এসব তো চিরাচরিত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এক অভিনব সংযোগ—মুড়ির সঙ্গে জিলাপি, বুন্দিয়া বা অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় খাবার মিশিয়ে খাওয়া! কারও কাছে এটি ইফতারের স্বাদ বাড়ানোর এক অনন্য উপায়, আবার কেউ মনে করেন এটি স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। তাহলে আসলে সত্যিটা কী?
এই বিতর্কের নিরসনে চ্যানেল 24 অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন লাইফ কেয়ার মেডিকেল সেন্টারের নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েট কনসালটেন্ট ইসরাত জাহান ডরিন। পুষ্টিবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে মুড়ি এবং মিষ্টির এই সংমিশ্রণ শরীরে কী প্রভাব ফেলে, তা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
মুড়ি ও মিষ্টির মিশ্রণ: স্বাদ ও স্বাস্থ্য কোন দিকে যাবে পাল্লা?
মুড়ি মূলত হালকা, সহজপাচ্য এবং লো-ক্যালোরির একটি খাবার। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, কম ফ্যাটযুক্ত এবং সহজে হজম হয়। অন্যদিকে, জিলাপি বা বুন্দিয়ার মতো মিষ্টিজাতীয় খাবারে থাকে প্রচুর চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।
যখন মুড়ির মতো হালকা খাবারের সঙ্গে উচ্চমাত্রার চিনি যুক্ত হয়, তখন শরীরে এক ধরণের উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) তৈরি হয়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়, যা তাৎক্ষণিক শক্তি দিলেও দীর্ঘমেয়াদে ইনসুলিন প্রতিরোধের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা স্থূলতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
তাহলে কি মুড়ির সঙ্গে মিষ্টি একেবারেই নিষিদ্ধ?
যদি শারীরিক কোনো জটিলতা না থাকে, তবে পরিমিত পরিমাণে (যেমন সপ্তাহে এক-দুবার) মুড়ির সঙ্গে অল্প পরিমাণে মিষ্টি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত তেল ও চিনি এড়িয়ে চলাই ভালো। বরং মুড়ির সঙ্গে দই, বাদাম বা ফল মিশিয়ে খেলে একইসঙ্গে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।
ইফতারে স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন
ইফতার মানেই সুস্বাদু খাবারের আয়োজন, তবে তা যেন শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ না হয়। যারা মনে করেন মুড়ির সঙ্গে জিলাপি না খেলে ইফতার অসম্পূর্ণ, তারা একটু ভেবে দেখুন—এই স্বল্পমেয়াদি রসনার আনন্দ কি দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে?
সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডের চেয়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। সুস্থতা এবং স্বাদ—দুটোরই ভারসাম্য বজায় রেখে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই ইফতারের প্লেটে একটু সচেতনতার ছোঁয়া থাকুক, যাতে সুস্বাদু খাবারের আনন্দের সঙ্গে সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকে!
কামাল/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন