ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

এক ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন

সারাদেশ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মার্চ ০৬ ২২:৪২:৪১
এক ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তাঁর স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিপুল পরিমাণ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ, তাঁদের নামে থাকা ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে, যা কোটি নয়, হাজার কোটি টাকার!

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুদকের পক্ষ থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

হাজার কোটি টাকার খেলা—কীভাবে?

দুদকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। লাক মিয়ার ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। সময়কাল? ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত!

শুধু লাক মিয়াই নন, তাঁর স্ত্রী মাহমুদা বেগমও এই অবৈধ সম্পদের জগতে পিছিয়ে নেই। তাঁর ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৪৬১ কোটি ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা!

অবৈধ সম্পদের পাহাড়

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, লাক মিয়ার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকার সম্পদ অর্জনের মামলা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৪ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

এই টাকা এল কোথা থেকে?

তদন্তে উঠে এসেছে, লাক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জমি দখল ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এসব অপকর্মের মাধ্যমেই গড়ে তুলেছেন তাঁর অর্থ সাম্রাজ্য।

দুদকের অবস্থান

দুদক জানিয়েছে, তাঁরা এই বিশাল পরিমাণ অর্থের উৎস নিয়ে আরও গভীর তদন্ত করবে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অবিশ্বাস্য এই সম্পদের পাহাড়ের পেছনে লুকিয়ে থাকা রহস্য উন্মোচনের অপেক্ষায় দেশবাসী। তবে কি শেষ পর্যন্ত আইনের কঠোর শাস্তি এড়াতে পারবেন লাক মিয়া ও তাঁর স্ত্রী? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

রহিম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ