ডিএসই ও বিএসইসি-এর বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিনিয়োগকারীদের জন্য একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে, যা পুঁজিবাজারে সুস্থ ও নিরাপদ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য অভিযোগ ব্যবস্থাপনা
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ডিএসই "Customer Complaint Address Module (CCAM)" চালু করেছে। বিনিয়োগকারীরা যদি কোনো ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি বা তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চান, তাহলে তারা অনলাইনে
https://www.cdbl.com.bd/complaints.sec.gov.bd/ লিংকের মাধ্যমে তা দায়ের করতে পারবেন।
এই উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বচ্ছতা বজায় রাখবে এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে।
নৈতিকতা মেনে চলার নির্দেশনা
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ডিএসই সকল স্টক ডিলার, ব্রোকার এবং অনুমোদিত প্রতিনিধিদের জন্য ২০০০ সালের "সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার এবং অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা" কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছে। নৈতিক আচরণ মেনে চললে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।
গুজবের ফাঁদে পা দেবেন না
ডিএসই বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে জানিয়েছে যে, কেউ যদি স্টক এক্সচেঞ্জের নাম ব্যবহার করে বাজারে গুজব ছড়ায়, তাহলে তা "কপিরাইট আইন, ২০০০" এবং "সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯"-এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বাজারে গুজব ছড়ানো কেবল বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির কারণ নয়, এটি আইনিভাবেও দণ্ডনীয়। তাই বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অবিশ্বস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাবধান
বিনিয়োগকারীদের মনে রাখা জরুরি যে, ডিএসই বাজার সম্পর্কিত কোনো তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার বা লিংকডইনের মাধ্যমে প্রকাশ করে না। সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে ডিএসই-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং অনুমোদিত সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বিনিয়োগের আগে যা জানা জরুরি
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছে:
বিনিয়োগ করার আগে পুঁজিবাজার সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও গবেষণা করুন।
বিনিয়োগ থেকে যে লাভ বা লোকসান হবে, সেটির সম্পূর্ণ দায়ভার বিনিয়োগকারীর উপর বর্তাবে। তাই তথ্য ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
গুজবের ভিত্তিতে শেয়ার কেনাবেচা করলে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকে, পাশাপাশি এটি আইনত অপরাধও বটে।
বিনিয়োগের জগতে সফল হতে হলে শুধুমাত্র আবেগের ওপর নির্ভর করা যাবে না; বরং সতর্ক বিশ্লেষণ, সচেতন সিদ্ধান্ত ও সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে হবে। বাজারে টিকে থাকার জন্য গুজব নয়, বরং বাস্তব তথ্য ও গবেষণা-নির্ভর সিদ্ধান্তই বিনিয়োগকারীর প্রকৃত সহায়ক হতে পারে।
কামাল হোসেন/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- এসএসসি-এইচএসসির বোর্ডসেরা শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার
- ইরান-যুক্তরাষ্ট্র শান্তির আলোয় তেলের দর ৪% কমেছে
- স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে, কারণ জানেন কি?
- বিএনপির ৪ নেতার পদত্যাগ: সামনে এলো আসল কারণ
- সোনার বাজারে ঝড়! দাম পড়ে যেতে পারে ৮৫ হাজারে
- ফুটবলে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস: ২৮-০ গোলের বড় জয় দেখল বিশ্ব
- মুস্তাফিজকে পরের ম্যাচে রাখার কারণ জানালেন দিল্লি অধিনায়ক
- শেয়ারবাজার নিয়ে খেলা বন্ধে কঠোর শাস্তির দাবি
- দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটানস: টস শেষ, জানুন একাদশে মুস্তাফিজের অবস্থান
- গুজরাটের বড় জয়, দিল্লির অধিনায়কের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া
- দেশের সোনার বাজার অস্থির: ১৮, ২১, ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপা
- শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরাতে পাঁচ সদস্যের দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ চাই
- শেয়ারবাজারের ঝুঁকি নিয়ে গভর্নর সতর্ক, জানিয়ে দিলেন বিনিয়োগকারীদের
- ডিএসই সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন বাতিল করল বিএসইসি