পিত্তথলির পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায় – জেনে নিন কার্যকর সমাধান
নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবনযাত্রা যত আধুনিক হচ্ছে, ততই নানা শারীরিক সমস্যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জায়গা করে নিচ্ছে। তার মধ্যে পিত্তথলির পাথর অন্যতম। কোলেস্টেরল বা পিত্ত লবণের অতিরিক্ত ঘনত্বের ফলে এই কঠিন পাথর তৈরি হয়, যা একসময় ব্যথা ও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি মূলত অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপন ও হজমজনিত সমস্যার কারণে হয়। যদিও সার্জারি কিংবা ওষুধের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব, তবে কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলে প্রাকৃতিকভাবেও এটি প্রতিরোধ ও নিরাময় করা যায়। চলুন জেনে নিই এমন কিছু উপায়, যা আপনার ঘরেই রয়েছে।
পিত্তথলির পাথর দূর করার কার্যকর ঘরোয়া উপায়
১. হলুদের জাদু: দুধের সঙ্গে এক অনন্য মিশ্রণ
হলুদ প্রকৃতির এক আশীর্বাদ। এর প্রদাহবিরোধী উপাদান শুধু ব্যথা কমায় না, বরং শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধানেও দারুণ কার্যকর। এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে। এটি শুধু পিত্তথলির পাথর গলাতে সহায়তা করে না, বরং লিভারের কার্যকারিতাও বাড়ায়।
আরও পড়ুন:
প্রোটিনের অভাবে শরীরে যে যে পরিবর্তন ঘটে
সারাক্ষণ ক্লান্তি অনুভব করেন, আসল কারণ ও প্রতিকার
২. অ্যালোভেরার রসে প্রাকৃতিক নিরাময়
প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চা ও চিকিৎসায় অ্যালোভেরার ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং পিত্তথলির কার্যকারিতা উন্নত করে। এক গ্লাস পানিতে তাজা অ্যালোভেরার রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন সকালে। এটি শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করবে এবং হজমের সমস্যা কমাবে।
৩. গোলমরিচের গুণে হজমের উন্নতি
গোলমরিচ শুধু মসলার স্বাদ বাড়ায় না, বরং এটি হজম শক্তিকে বাড়িয়ে পিত্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। প্রতিদিন খাবারের আগে এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক চিমটি গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। এটি পিত্তথলির কার্যকারিতা বাড়িয়ে পাথর গঠনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
৪. কালোজিরার অমোঘ শক্তি
কালোজিরাকে বলা হয় 'সব রোগের মহৌষধ'। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরার তেল বা গুঁড়া মধুর সঙ্গে মিশিয়ে গ্রহণ করেন, তাদের শরীরে প্রদাহ কমে এবং পিত্তথলির পাথর গলতে শুরু করে। এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধে করণীয়
পানি পান করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে: প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে পিত্তের ভারসাম্য বজায় থাকে, ফলে পাথর জমার আশঙ্কা কমে।
ফাইবারযুক্ত খাবার খান: শাকসবজি, ফলমূল ও বাদাম জাতীয় খাবার হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার পিত্তথলির সমস্যার মূল কারণ হতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: অতিরিক্ত ওজন পিত্তথলির সমস্যার কারণ হতে পারে, তাই প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
পিত্তথলির পাথর একটি যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা হলেও কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায়ে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। সার্জারি বা ওষুধের বিকল্প না হলেও, এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো পিত্তথলির সুস্থতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশে দূরে থাকা সম্ভব। তাই প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন, আর নিজেকে রাখুন ঝামেলামুক্ত!
করিম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- লিভার নষ্টের প্রথম সংকেত ত্বকে! এই ৪টি লক্ষণ অবহেলা করবেন না
- earthquake today : গভীর রাতে ৪.০ মাত্রার ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়?
- আজকের সোনার দাম: (বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫)
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শেষ হলো ম্যাচ জানুন ফলাফল
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বোলিংয়ে বাংলাদেশ খেলাটি সরাসরি Live দেখুন এখানে
- আজকের খেলার সময়সূচী: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সেমি ফাইনাল
- সিঙ্গাপুরেচিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ অবস্থা
- রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে পে-স্কেল নিয়ে আসলো যেসব সিদ্ধান্ত
- ডিএসইর দুই নতুন পরিচালকের নাম ঘোষণা
- আজ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সেমিফাইনাল: লড়াকু টার্গেট দিল বাংলাদেশ
- প্রবাসীদেরইকামাফি নিয়ে দারুন সুখবর দিল সৌদি আরব
- তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক নিয়ম, সময় ও ফযীলত: বিস্তারিত গাইড
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সেমিফাইনাল: ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ সরাসরি দেখুন Live
- মুস্তাফিজ কত দিন আইপিএল খেলতে পারবেন জানালেন বিসিবি প্রধান