জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য
 
                            নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যোগ হল যখন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস-এর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ অনুষ্ঠিত এই গোল টেবিল বৈঠকটি, জাতিসংঘের ঢাকা অফিস-এর আয়োজনে, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংস্কারের প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, “আমরা জাতিসংঘ মহাসচিবকে অবহিত করেছি, বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কারের প্রক্রিয়া এবং তাদের দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।” বিএনপি মহাসচিব জানিয়ে দেন যে, বাংলাদেশের রাজনীতির গভীরে যেসব সংস্কার চলছে, সেগুলো শুধুমাত্র নির্বাচনের প্রক্রিয়াকেই সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়ক নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতকে সুসংহত করতেও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, “আমরা বলেছি, নির্বাচনী সংস্কারগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, এবং এর পরবর্তী পর্যায়ের সংস্কারগুলো নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।” মির্জা ফখরুলের কথায়, এসব সংস্কারের বিষয়টি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক আলোচনার ফলস্বরূপ সমাধান হতে হবে, যেখানে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো একযোগে কাজ করবে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গুতেরেস মহাশয় কোনো মন্তব্য করেননি, তবে তিনি বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থা সমর্থন জানাতে পারে, তবে এই সংস্কার প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন দেশের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া হতে হবে।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, নির্বাচন বিষয়ে টাইম ফ্রেমের কোনো আলোচনা তাদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক। “এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সময়সীমা সম্পর্কে অন্য কাউকে কেন বলতে হবে?” বলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলো একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনার পক্ষে। তিনি বলেন, “এমন একটি সরকার গঠন করা প্রয়োজন যা সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।”
বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের রাজনৈতিক সংস্কার নিশ্চিত করা এবং একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করা। সুতরাং, মির্জা ফখরুলের মতে, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে যদি সঠিক সংস্কার না ঘটে, তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে। তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা চাই দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পূর্ণবঙ্গভাবে পুনরুদ্ধার হোক এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।”
এ বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার আবেদন জানিয়েছে। তবে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করার স্পষ্ট মনোভাব প্রদর্শন করা হয়।
এই বৈঠকটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে চায়।
আব্দুর রহিম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আবারও এক লাফে কমলো সোনার দাম
- ব্যাপক হারে কমলো সোনার দাম, স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা
- রেকর্ড নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো ওয়ালটন
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: ডিএলএস পদ্ধতিতে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে দুই ব্রোকারেজ হাউসের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল করল ডিএসই
- স্বর্ণের দাম আজকের বাজার ২০২৫
- ১৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- আজ নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি কত করে
- মুনাফায় রেকর্ড: লভ্যাংশ ঘোষণা করলো বাটা শু
- আজ আবারো কমলো সোনার দাম, ভরিতে ১০,৪৭৪ টাকা কমালো বাজুস
- বোনাস ও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা মনোস্পুল বাংলাদেশের
- ইজেনারেশনের লভ্যাংশ ঘোষণা
- নবম পে স্কেল: কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি!
- 'জেড' ক্যাটাগরিরতে স্থানান্তার দুই কোম্পানির শেয়ার
- নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো এসিআই ফর্মুলেশনস
 
								 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                     
                    