
MD. Razib Ali
Senior Reporter
মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ: সরকার কি পদক্ষেপ নিবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ সালের মার্চ মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মঙ্গলবার প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে জানায়, মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে। ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ, অর্থাৎ গত মাসের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ০.১১ শতাংশ।
তবে এই বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে, যা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিয়েছে। মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। কিন্তু খাদ্যবহির্ভূত দ্রব্যের দাম বেড়েছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি মার্চে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
গ্রাম ও শহরে মূল্যস্ফীতির পার্থক্য
গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও শহরাঞ্চলে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
মজুরির সঙ্গে মূল্যস্ফীতির অমিল
মজুরি বৃদ্ধির হারও এই মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। মার্চে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা মূল্যস্ফীতির হার থেকে কম। এর মানে হলো, মানুষের আয় যতটা বেড়েছে, ততটা বেড়েছে তাদের খরচও। বিশেষ করে, মজুরিনির্ভর জনগণের ওপর চাপ অনেক বেড়েছে।
দেশের বড় জনগণ বিশেষভাবে প্রভাবিত
বাংলাদেশে প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। এরা মূলত নিম্ন দক্ষতার পেশায় নিয়োজিত, এবং তাদের জন্য মূল্যস্ফীতির চাপ বহুগুণ বেশি। গড় মজুরি ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে বাড়তি ফারাক এই জনগণের জীবনযাত্রা আরও কঠিন করে তুলেছে।
অর্থনীতি নিয়ে অস্থিরতা: কী করার প্রয়োজন?
এমন পরিস্থিতিতে, সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা রক্ষা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সহায়ক পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি। সমাজের এই অংশকে সহায়তা না করা গেলে, তাদের জীবনযাত্রার মান আরও খারাপ হয়ে যাবে।
একদিকে মূল্যস্ফীতি এবং অন্যদিকে মজুরি বৃদ্ধির অমিল—এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দেশের অর্থনীতি আরও অস্থির হতে পারে। সরকারের উচিত আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে দেশের সাধারণ মানুষ সংকটের মাঝে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারে।
এখন সময় এসেছে একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ে তোলার, যেখানে সকল জনগণের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম নেপালের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- শুরু বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ: ম্যাচটি লাইভ দেখুন এখানে
- বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে করা আরশ খানের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল
- সেনাবাহিনী প্রধানের নতুন ঘোষণা, যা বললেন তিন বাহিনী প্রধান
- প্রকৌশল খাতের ৫ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’ রাজনীতিতে নতুন মোড়
- টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি: বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ লাইভ দেখার সহজ উপায়
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- ক্রিকেট দুনিয়ায় শোকের কালো ছায়া: মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক
- বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে করা শাকিব খানের ফেসুবক পোস্ট ভাইরাল
- বিদায়ী সপ্তাহে ৮ কোম্পানির শেয়ার বছরের সর্বনিম্ন দামে
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম নেপাল লড়াই: ম্যাচটি লাইভ দেখার সহজ উপায়
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৬ আগস্ট ২০২৫)