কলকাতায় ওবায়দুল কাদের! দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত, আওয়ামী লীগে ভাঙনের ইঙ্গিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভেঙে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের দেয়াল। ক্ষমতার মসনদ হাতছাড়া হতেই অনেক প্রভাবশালী নেতা রাতারাতি পাড়ি জমান পাশের দেশ ভারতে। কারো গন্তব্য দিল্লি হলেও বেশিরভাগই ঠাঁই নেন পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায়।
এই শহরের নিউটাউন এলাকায় গড়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের এক ‘গোপন সদর দপ্তর’। সেখানে নিয়মিত চলছে বৈঠক, পরিকল্পনা ও পুরনো কাঠামো পুনর্গঠনের আলোচনা। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় নেই দলের গুরুত্বপূর্ণ মুখ ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কলকাতার অভিজাত এলাকায় গড়ে উঠেছে ‘নতুন অফিস’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এখন কলকাতার রোজডেল গার্ডেনের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে স্ত্রী, মেয়ে ও জামাতাকে নিয়ে বসবাস করছেন। একই ভবনের নিচতলায় তিনি ভাড়া নিয়েছেন আরও একটি ফ্ল্যাট, যেটি বর্তমানে অস্থায়ী আওয়ামী লীগ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে বসছে একের পর এক রাজনৈতিক বৈঠক। কলকাতায় আশ্রয় নেওয়া সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং প্রভাবশালী নেতারা নিয়মিতই এখানে মিলিত হচ্ছেন। আলোচনায় আসছে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রূপরেখা।
কিন্তু কোথায় ওবায়দুল কাদের?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন—তবে দলের অস্থায়ী সদর দপ্তরে তার কোনো উপস্থিতি নেই।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, সাবেক এক এমপির সহায়তায় নিউটাউনেরই একটি ভাড়াবাসায় স্ত্রীকে নিয়ে আছেন কাদের সাহেব। তবে তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, এবং তিনি কার্যত রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
দলে কি সত্যিই তাকে আর কেউ চায় না?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা জানিয়েছেন, ওবায়দুল কাদের এখন আর আগের মতো গ্রহণযোগ্য নন। অনেকেই মনে করেন, তিনি নেতৃত্ব দিতে অপারগ। এই মনোভাব কাদের সাহেব নিজেও বুঝে গেছেন এবং তাই দলের বৈঠক-আলোচনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
বস্তুত, নিউটাউনের ‘অস্থায়ী আওয়ামী লীগ অফিস’-এ তাকে একবারও দেখা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
নেতৃত্বহীন আওয়ামী লীগ: সামনে কী?
এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ এক অজানা যাত্রায়। কলকাতায় গঠিত এই দলীয় ঘাঁটি যতই সংগঠিত হোক না কেন, শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতি গোটা কাঠামোকে করছে প্রশ্নবিদ্ধ।
ওবায়দুল কাদেরের নীরবতা কি কেবল অসুস্থতার কারণে? নাকি এটা একটি নেতার রাজনৈতিক পর্দা নামার পূর্বাভাস?
প্রশ্নটি এখন শুধু দলীয় কর্মীদের মাঝে নয়—ছড়িয়ে পড়েছে রাজনীতি পর্যবেক্ষকদের মধ্যেও।
মূল বিষয়গুলো:
সরকার পতনের পর কলকাতায় অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় গড়ে তুলেছে আওয়ামী লীগ।
কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান খান নিয়মিত বৈঠক করছেন কলকাতায় অবস্থানরত নেতাদের নিয়ে।
ওবায়দুল কাদের রয়েছেন কলকাতার এক ভাড়াবাসায়, তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনুপস্থিত।
শারীরিক অসুস্থতা ও দলে অনাগ্রহ—দুটি কারণেই তিনি এখন নিঃসঙ্গ।
দলের অভ্যন্তরে নেতৃত্বে ভাঙনের গুঞ্জন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।
আব্দুর রহিম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অলস টাকা আর নয়! শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর দিল বিএসইসি
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকার নিচ্ছে দ্রুত পদক্ষেপ: ৪ মূল সমস্যা চিহ্নিত
- গাজার মতো হামলার হুমকি বাংলাদেশকে! মুখ খুললো ভারতীয় মিডিয়া
- চীনের সহায়তায় পাঁচ জেলায় স্বাস্থ্য বিপ্লব: আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে
- শেয়ারবাজারে বড় পরিবর্তনের আভাস! বৈঠকে বসছে সরকার ও শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট, ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে বিনিয়োগকারীরা
- শেখ হাসিনার ৮ মিনিটের ভিডিও বার্তা: ইতিহাস, শিল্প ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
- চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা: বাবা-ছেলের লড়াই!
- Real Madrid vs. Arsenal: একাদশ, পরিসংখ্যান ও ম্যাচ প্রেডিকশন
- রিয়াল মাদ্রিদ বনাম আর্সেনাল কোয়ার্টার ফাইনাল স্কোর আপডেট
- ৫৪ বছরেই শেষ! আত্মহত্যা করলেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা নিকি ক্যাট
- বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা
- বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ, সামনে সহজ সমীকরণ
- মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ আহমদ বাদাওয়ি আর নেই — শোকস্তব্ধ বিশ্ব
- ঢাকার বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর ছবি পেটানো, ইসরায়েলি মিডিয়ায় আলোড়ন