
MD: Razib Ali
Senior Reporter
শেয়ারবাজারে কৃত্রিম পতন? বিনিয়োগকারীদের মুখে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে যেন থামছেই না লাল সংকেতের ধারা। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এ লেনদেন শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। একদিকে সূচক হারাচ্ছে পয়েন্ট, অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের মুখে হতাশার ছায়া স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
ডিএসইতে বড় ধস, কমেছে লেনদেনও
দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ২৬.৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫,১০৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ৭.২১ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ১,১৪৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক হারিয়েছে ১৫.২৮ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ১,৮৭৮ পয়েন্টে।
লেনদেনেও পড়েছে ভাটার টান। আজকের লেনদেন দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৯৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যেখানে আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪৬ কোটি ১২ লাখ টাকার। আজ ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হলেও ২১২টির দাম কমেছে, ১২০টি বেড়েছে, এবং ৬৪টি অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতেও পতনের ধারাবাহিকতা
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) পরিস্থিতি ছিল একইরকম হতাশাজনক। সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ৬.১৪ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ৮,৭৪৭ পয়েন্টে। সিএএসপিআই সূচক ১৮.৮৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪,৩৫১ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৪.৭৬ পয়েন্ট কমে ৯৩০ পয়েন্টে।
তবে ব্যতিক্রম ছিল সিএসই ৩০ সূচক, যা বেড়ে ৪৫.১২ পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে ১২,০০৫ পয়েন্টে।সিএসইতে আজ লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার, যা আগের দিনের ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার তুলনায় অনেকটাই কম।
কেন এই পতন থামছে না?
পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে এখনও রয়েছে শেয়ার বিক্রির চাপ, যার ফলে ক্রমাগত দাম পড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ—এই পতন স্বাভাবিক নয়, বরং ‘কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি’ করা হচ্ছে আস্থাহীনতা ও আতঙ্ক।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজারে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অভাব, স্বচ্ছ নীতিমালা না থাকা এবং বিভিন্ন কোম্পানির দুর্বল ফান্ডামেন্টাল অবস্থা এই ধসের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে।
বিনিয়োগকারীদের কণ্ঠে হতাশা
ঢাকার একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী বলেন,
"প্রতিদিনই লোকসান দেখতে হচ্ছে। কেউ যেন এই বাজারের দায়িত্ব নিচ্ছে না। বাজারে বিশ্বাস রাখাও এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।"
আরেকজন যোগ করেন,
"কয়েকটি কোম্পানি লাভে থাকলেও, সামগ্রিক বাজারে নেগেটিভ সেনটিমেন্ট এতটাই বেশি যে মানুষ ঝুঁকি নিতে চায় না।"
করণীয় কী?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারকে সক্রিয় হওয়ার। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বাজারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং কৃত্রিমভাবে সূচক নিয়ন্ত্রণের অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন।
এছাড়া গভীর পর্যবেক্ষণ, কোম্পানি পর্যবেক্ষণ, এবং লভ্যাংশ সংক্রান্ত নীতিমালার উন্নয়ন বাজারকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চলছে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচ দেখুন স্কোর
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায়
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: জানুন হেড টু হেড পরিসংখ্যান
- শিক্ষকদের জন্য সুখবর: বাড়ল বাড়ি ভাড়া
- চলছে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট, লাইভ দেখুন এখানে
- দুই কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা আসছে ডিভিডেন্ড
- মশিউর সিকিউরিটিজের লেনদেন স্থগিত, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার স্থানান্তরের নির্দেশ ডিএসইর
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- সরকারি চাকরিজীবীদেরজন্য সুসংবাদ! ১০ বছর পর বেতন দ্বিগুণ হচ্ছে
- শেয়ারবাজারে নতুন উদ্দীপনা: 'বুল রান'-এর ঝলক, তবে সতর্কতার মিশ্রণ
- নতুন বেতন কাঠামোতে নতুন বড় চমক: গ্রেড কম, বেতন বেশি!
- শেয়ারবাজারে 'স্বাভাবিক সংশোধন', কমেছে সূচক তবে বেড়েছে লেনদেন
- আফগানিস্তানকে নাকানি-চোবানি খাইয়ে সিরিজে স্পিনার হলেন ম্যান অফ দ্যা সিরিজ!