সৌদি সরকারের কঠোর অভিযান: ১৮ হাজার ৬০০ প্রবাসীর জীবনে ভয়াবহ বিপদ
নিজস্ব প্রতিবেদক: হজের মহান মরসুম আসন্ন, আর সৌদি আরব তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে শুরু করেছে। দেশের অভ্যন্তরে অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে সৌদি সরকার এক বিশাল অভিযান শুরু করেছে, এবং ইতোমধ্যে এই অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৬০০ জন। সৌদি সরকারের এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য একটাই—অবৈধ অভিবাসীদের শিকারে মেতে ওঠা এবং তাদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা কেমন?
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, ৩ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলা অভিযানে ধরা পড়া ১৮,৬০০ জনের মধ্যে ১১,৮১৩ জনই আবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন, ৪,৩৬৬ জন সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করেছেন, এবং ২,৪৯০ জন শ্রম আইন ভেঙেছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইথিওপিয়ান নাগরিক, যাদের সংখ্যা ৬৯ শতাংশ, এবং ২৭ শতাংশ ইয়েমেনি। এছাড়া, ১,৪৯৭ জন অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন।
ফিরিয়ে পাঠানো হচ্ছে অভিবাসীদের
এ পর্যন্ত প্রায় ৮,১২৬ জন অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাকিদের জন্যও ফেরত যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এসব অভিবাসীদের মধ্যে ২৫ হাজার ৭৫৪ জনকে তাদের দেশের দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে দ্রুত দেশে ফিরতে পারেন।
অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সতর্ক বার্তা
এই অভিযানের মাধ্যমে সৌদি আরব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছে যে, যারা অবৈধভাবে এখানে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য বিপদ ঘনিয়ে আসছে। সৌদি সরকার হজ মৌসুমের আগে এই অভিযান পরিচালনা করে, যাতে হজে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এবং অবৈধ অভিবাসীরা যেন কোনরকম অনিয়মে লিপ্ত না হয়। সৌদি আরবের এই পদক্ষেপের ফলে, হজ মৌসুমে যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে।
কেন এই কঠোর পদক্ষেপ?
গেল কয়েক বছরে দেখা গেছে যে, হজের সময় সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে লাখো মুসল্লির আগমন ঘটে। এসময় অবৈধ অভিবাসীরা হজে অংশগ্রহণের চেষ্টা করে, যা পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত করতে পারে। তাই, আগাম সতর্কতা হিসেবে সৌদি সরকার এই অভিযান শুরু করেছে। একই সাথে, সৌদি সরকারের এই পদক্ষেপ শ্রম ও অভিবাসন নীতির প্রতি শৃঙ্খলা বজায় রাখার কৌশলও।
একটি বড় শিক্ষা
এই অভিযান শুধুমাত্র হজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না, বরং এটি অভিবাসীদের জন্য একটি বড় শিক্ষা। অবৈধ অবস্থান মানেই ঝুঁকি। যারা এই ঝুঁকি নেবেন, তাদের জন্য সৌদি আরবের আইন একদম স্পষ্ট—অবৈধ অভিবাসীরা দ্রুত গ্রেফতার হবে এবং দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সুতরাং, সৌদিতে অবস্থানরত সকল অভিবাসীকে অবশ্যই নিজেদের কাগজপত্র সঠিকভাবে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সৌদি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপ হজ মৌসুমের প্রস্তুতিতে একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, এবং এটি সৌদি আরবের অভিবাসন নীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি শক্তিশালী সংকল্পের প্রমাণ। এই সতর্ক বার্তাটি শুধু সৌদি আরবের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের জন্যই নয়, বরং সারা বিশ্বের জন্য একটি শিক্ষা—অবৈধ অবস্থান মানেই বিপদ।
আব্দুর রহিম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে না বলে দিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড
- বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়লেন যারা,দেখুন তালিকা
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা মাশরাফির ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল, দেশ জুড়ে আলোচনার ঝড়
- আরও ১৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন, বাদ পড়লেন যারা, দেখুন তালিকা
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা সাকিবের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল, দেশ জুড়ে আলোচনার ঝড়
- শেষ মুহূর্তে ১৫ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করল বিএনপি, দেখুন তালিকা
- ২০২৬ সালের স্কুলের ছুটির তালিকা প্রকাশ: মোট ৬৪ দিনের পূর্ণাঙ্গ ক্যালেন্ডার
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত, জানুন কবে হবে?
- বিপিএল লাইভ-চট্টগ্রাম বনাম রংপুর: চলছে ম্যাচ, সরাসরি দেখুন Live
- খালেদা জিয়ার ৩ আসনে নাটকীয়তা: বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন যারা
- এ' থেকে 'বি' ক্যাটাগরিতে অবনমন হলো তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- খালেদা জিয়ার ৩ আসনে প্রার্থীহলেনযারা
- চলছে নোয়াখালী বনাম রাজশাহী ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি Live দেখুন এখানে
- চট্টগ্রাম রয়্যালস বনাম রংপুর রাইডার্স: সরাসরি Live দেখবেন যেভাবে
- খালেদা জিয়ার বিদায়, অবিশ্বাস্য ভাবে যা বললেন শেখ হাসিনা