বিনিয়োগকারীদের কান্না: শেয়ারবাজারে স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা দরপতন, তারল্য সংকট আর আস্থাহীনতার কালো ছায়ায় ঢাকা পড়ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার। সূচক যখন প্রতিদিনের মতো নিচে নেমে যায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারীদের মুখে তখন শুধু দীর্ঘশ্বাস—আর কত? পুঁজির রক্তক্ষরণে অনেকের সঞ্চয় এখন ‘কাগুজে সংখ্যা’ মাত্র।
একসময় যারা শেয়ারবাজারকে ভবিষ্যতের সোনার খনি মনে করতেন, তারা এখন তাকিয়ে আছেন নিষ্প্রাণ চোখে, লালচে সূচকের দিকে। দোষারোপের পালা চলছে, কিন্তু সমাধান? সেটাই যেন অদৃশ্য!
নীতিমালা থাকলেও নেই নীতির প্রতিফলন
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানা নিয়ম-নীতির খসড়া বানালেও বাস্তবে সেগুলোর প্রভাব শূন্যের কোঠায়। বরং, সংস্থার অভ্যন্তরেই যখন ২২ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়, এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়—তখন বাজারের ভিত আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ে।
এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ স্পষ্ট:
"আমরা নীতি চাই না, চাই কার্যকর পদক্ষেপ। পুঁজির নিরাপত্তা চাই, খালি আশ্বাস নয়!"
ডিএসইতে সূচকের মৃদু পতন, লেনদেনে বেড়েছে গতি
আজ ৩০ এপ্রিল, বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১৭.৬৯ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ৪,৯১৭ পয়েন্টে।
ডিএসই শরীয়াহ সূচক ০.২২ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১,০৯৪ পয়েন্ট।
ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১.৩৩ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ১,৮২২ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন:
আজ পুঁজিবাজারে দর পতনের শীর্ষ ৮ শেয়ার
আজ পুঁজিবাজারে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ৮ শেয়ার
আজ পুঁজিবাজারে লেনদেনের শীর্ষ ৮ শেয়ার
তবে ইতিবাচক দিক হলো—লেনদেনে দেখা গেছে খানিকটা গতি। আজ মোট লেনদেন হয়েছে ৩২৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৩৫ কোটি বেশি।
মোট ৩৯৫টি কোম্পানির মধ্যে:
দর বেড়েছে: ১৫৮টি
দর কমেছে: ১৭৬টি
অপরিবর্তিত: ৬২টি
সিএসইতেও একই সুর—আস্থা ফিরছেই না
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) চিত্র প্রায় অভিন্ন। লেনদেন বেড়েছে, কিন্তু সূচক কমেছে।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে: ৪১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার
সূচক কমেছে: ৯.৮৮ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ১৩,৮০৫ পয়েন্টে
এখানে ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে:
দর বেড়েছে: ৮৮টি
দর কমেছে: ১১৬টি
অপরিবর্তিত: ২৯টি
আগের দিন সূচক কমেছিল আরও বেশি—৩০.৫৭ পয়েন্ট।
বিনিয়োগকারীদের দাবি—‘আশ্বাসে নয়, এখন চাই বাস্তব ব্যবস্থা’
বাজারে ক্ষতির এ ধারাকে থামাতে বিনিয়োগকারীরা চাইছেন কেবল একটিই জিনিস—আস্থা। তারা বলছেন, বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে চাই সময়োপযোগী, বাস্তবসম্মত এবং দৃশ্যমান পদক্ষেপ।
সত্যি বলতে, এখন আর শুধু ‘নীতিমালার কথা’ বা ‘দূর ভবিষ্যতের স্বপ্ন’ শুনে কাজ হবে না। বাজারে ফের আস্থা ফেরাতে হলে প্রয়োজন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কার্যকরী সিদ্ধান্ত।
রাজিব/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন