ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

কলকাতার প্লে-অফ স্বপ্ন বাঁচাতে চাই টানা দুই জয়

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ০৮ ০৯:৫৯:২৭
কলকাতার প্লে-অফ স্বপ্ন বাঁচাতে চাই টানা দুই জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইডেন গার্ডেনসে হঠাৎ যেন থমকে গেল উৎসব। পুরো আসরে কেবল দু’টি ম্যাচ জেতা চেন্নাই সুপার কিংস এসে হারিয়ে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচটা হারের চেয়েও বেশি কিছু হারালো কলকাতা নাইট রাইডার্স—পয়েন্ট তালিকায় ওপরে ওঠার এক সুবর্ণ সুযোগ, আত্মবিশ্বাস, আর নিশ্চিন্তে প্লে-অফে যাওয়ার পথ।

চেন্নাইয়ের ব্যাটে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও শিভাম দুবের ঝড়, আর কলকাতার এক মুহূর্তের ঢিলে পারফরম্যান্সেই জমে উঠলো প্লে-অফের হিসাব। কিন্তু এখানেই থেমে নেই কেকেআরের গল্প। বরং এখনই শুরু হল অঙ্ক কষার অধ্যায়—‘যদি তারা হারে’, ‘তাহলে আমরা জিতলে’, ‘নেট রানরেট যদি হয় বেশি’—এইসব সমীকরণেই টিকে আছে কলকাতার স্বপ্ন।

পয়েন্ট টেবিলের চিত্রনাট্য এখন এমন:

কলকাতা নাইট রাইডার্স – ১২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট, নেট রানরেট: +০.১৯৩

দিল্লি ক্যাপিটালস – ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স – ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট

তিন দলের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দৌড় এখন চতুর্থ স্থান নিয়ে। প্রথম তিন দল অনেকটাই এগিয়ে, তাই কলকাতার ফোকাস এখন একটাই—চতুর্থ স্থান দখল। কিন্তু তা যেন শ্যামল ছায়ার মতো—আছে, অথচ ধরা যাচ্ছে না সহজে।

কীভাবে সম্ভব কলকাতার শেষ চার?

১. নিজেদের কাজটা নিখুঁতভাবে সারতে হবে

হায়দরাবাদ ও ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচ জিততেই হবে। হারলে এক মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাবে সব সম্ভাবনা। জয় মানেই ১৫ পয়েন্ট।

২. তাকিয়ে থাকতে হবে মুম্বাইয়ের ব্যর্থতার দিকে

হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে হারতে হবে বাকি দুটি ম্যাচেই—পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। একটি ম্যাচেও জিতলে তারা পৌঁছে যাবে ১৬ পয়েন্টে, কলকাতার স্বপ্ন তাতেই ভেসে যাবে।

৩. দিল্লির সঙ্গে সমান পয়েন্টে লড়তে হবে রানরেটে

দিল্লির এখন ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট। তাদের বাকি তিন ম্যাচ—গুজরাট, পাঞ্জাব ও মুম্বাইয়ের বিপক্ষে। যদি তারা জেতে কেবল একটি (মুম্বাইয়ের বিপক্ষে) আর বাকি দু’টিতে হারে, তাহলে তাদেরও পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৫। তখন কলকাতাকে নির্ভর করতে হবে ভালো নেট রানরেটের ওপর।

৪. বড় ব্যবধানে জিততে হবে, কারণ নেট রানরেটই হতে পারে ফয়সালার হাতিয়ার

দিল্লির সাথে সমান পয়েন্ট হলেও রানরেটের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে কলকাতার জয়গুলো হতে হবে দাপুটে। প্রতিটি বল, প্রতিটি রান তখন হয়ে উঠবে ম্যাচ জেতার চেয়েও বড় কিছু—পরবর্তী ধাপে যাওয়ার চাবিকাঠি।

এই মুহূর্তে কলকাতার জন্য প্রতিটি মুহূর্ত মানে একেকটি অঙ্ক, একেকটি সম্ভাবনা। মাঠের বাইরে সমর্থকদের হাতে ক্যালকুলেটর, আর মাঠে খেলোয়াড়দের হাতে দেশের স্বপ্ন। সব ঠিকঠাক মিললে হয়তো শেষ হাসিটা হাসবে কেকেআরই।

তবে একটা কথা ঠিক—এই আইপিএলের নাটকীয়তা শেষ বল পর্যন্ত টানটান থাকবে, আর কলকাতার গল্পটা ততক্ষণে হয়ে উঠবে এক রূপকথার অপেক্ষায় থাকা অধ্যায়।

চান কি এই লেখার শেষে একটি তথ্যচিত্রধর্মী গ্রাফিক্স টেবিল যোগ করে দিই, যাতে প্রতিটি দলের বাকি ম্যাচ ও পয়েন্ট সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়?

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ