ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

সকালের ৩ অভ্যাসেই নিয়ন্ত্রণে আসবে ব্লাড প্রেসার

লাইফ স্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ১২ ২০:৫৫:০০
সকালের ৩ অভ্যাসেই নিয়ন্ত্রণে আসবে ব্লাড প্রেসার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান জীবনের ব্যস্ততা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া ও মানসিক চাপের কারণে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার এখন একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা থেকে পরবর্তীতে হৃদরোগ, কিডনির জটিলতা এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। তবে প্রতিদিন সকালের রুটিনে কয়েকটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যোগ করলেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সহজ উপায়ে সকালে দিনের শুরু করলে সারাদিনই রক্তচাপ অনেকটা স্বাভাবিক রাখা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই তিনটি কার্যকর অভ্যাস—

১. দিনের শুরুতে এক গ্লাস ডাবের পানি

প্রাকৃতিকভাবে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ডাবের পানি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণ উপকারী। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস (প্রায় ১০০ মিলি) ডাবের পানি পান করলে শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম সহজেই দূর হয় এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকে। এতে রক্তনালীগুলো শিথিল হয় এবং রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক হয়। নিয়মিত এই অভ্যাস হৃদপিণ্ডের সুস্থতা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।

২. ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ পানীয় ও কুমড়োর বীজ

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ম্যাগনেসিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ কুমড়োর বীজ সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করুন এবং বীজ চিবিয়ে খান। কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তনালীর প্রসারণ ঘটিয়ে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই অভ্যাস সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক উভয় ধরনের রক্তচাপ কমাতে কার্যকর হতে পারে।

৩. কাঁচা রসুন ও জবা ফুলের চা

সকালে কাঁচা রসুন খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে একটি পরীক্ষিত ঘরোয়া পদ্ধতি। রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক উপাদান রক্তনালীর প্রসারণ ঘটায় এবং রক্তচাপ কমায়। সঙ্গে চাইলে এক কাপ জবা ফুলের চা পান করতে পারেন। এই ক্যাফেইনমুক্ত লাল রঙের চায়ে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ধমনীকে নমনীয় রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। তাই সকালেই যদি কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তবে তা সারাদিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা, পর্যাপ্ত ঘুম, কম লবণযুক্ত খাদ্য ও শারীরিক পরিশ্রম বজায় রাখা একান্ত জরুরি।

মোঃ রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ