সপ্তাহজুড়ে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৮ থেকে ২২ মে সময়কালের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদর উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সর্বাধিক দর হ্রাস পেয়েছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের, যার দর এক সপ্তাহে কমেছে ১৪.৬৩ শতাংশ।
পূর্ববর্তী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ফান্ডটির শেয়ারদর ছিল ৪ টাকা ১০ পয়সা, যা বিদায়ী সপ্তাহ শেষে দাঁড়ায় ৩ টাকা ৫০ পয়সায়। এতে এক সপ্তাহে দর কমেছে ৬০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পতন হয়েছে এপিএসসিএল বন্ডে। এই বন্ডের দর আগের সপ্তাহের ৩০৫৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৬২৩ টাকায়, যা ১৪.৩৪ শতাংশ হ্রাসের সমান। মূলধনী বাজারে বন্ডটির এই দরহ্রাস বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়।
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিজিআইসি, যার শেয়ারদর ১৩.৩৫ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহজুড়ে এর দাম ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে ৩০ টাকা ৫০ পয়সায় পৌঁছায়।
সপ্তাহজুড়ে দরপতনের শীর্ষে থাকা বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর দরপরিবর্তন নিম্নরূপ:
ক্রমিক | কোম্পানি / ফান্ড / বন্ড | আগের দর | বর্তমান দর | দরপতনের পরিমাণ | পতনের হার |
---|---|---|---|---|---|
১ | ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড | ৪.১০ টাকা | ৩.৫০ টাকা | ০.৬০ টাকা | ১৪.৬৩% |
২ | এপিএসসিএল বন্ড | ৩০৫৮.৫০ টাকা | ২৬২৩ টাকা | ৪৩৫.৫০ টাকা | ১৪.৩৪% |
৩ | বিজিআইসি | ৩৫.৩০ টাকা | ৩০.৫০ টাকা | ৪.৮০ টাকা | ১৩.৩৫% |
৪ | এনআরবি ব্যাংক | ১২.৬০ টাকা | ১১.১০ টাকা | ১.৫০ টাকা | ১১.৯০% |
৫ | প্রগতি ইন্স্যুরেন্স | ১০৪.৪০ টাকা | ৯৩.৩০ টাকা | ১১.১০ টাকা | ১০.৬১% |
৬ | আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড | ৬.০০ টাকা | ৫.৪০ টাকা | ০.৬০ টাকা | ১০.০০% |
৭ | ইউনাইটেড ফাইন্যান্স | ১৫.৯০ টাকা | ১৪.৩৫ টাকা | ১.৫৫ টাকা | ৯.৭৭% |
৮ | এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড | ৫.৪০ টাকা | ৪.৯৪ টাকা | ০.৪৬ টাকা | ৮.৫১% |
৯ | ইউসিবি ব্যাংক | ১৬.৮০ টাকা | ১৫.৪৩ টাকা | ১.৩৭ টাকা | ৮.১৮% |
১০ | এবিবিএলপি বন্ড | ৫৬৪০ টাকা | ৫২১৬ টাকা | ৪২৪ টাকা | ৭.৪৭% |
সাপ্তাহিক বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, দরপতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড এবং ব্যাংক খাতের কোম্পানিই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এটি বাজারে এই খাতগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিহ্রাস এবং তারল্য সংকটের প্রতিফলন হতে পারে।
বিনিয়োগ বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে স্বচ্ছ তথ্যপ্রবাহ, নিয়মিত ডিভিডেন্ড ও আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিগত সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। এর অনুপস্থিতিতে মূল্য সংবেদনশীল খাতে বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়ছে এবং বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন